অলরাউন্ডার ছিলেন। প্রকৃত অর্থেই দেশের স্পিন কিংবদন্তি। সেই প্রবাদপ্রতিম স্পিনার বাপু নাদকার্নিই চলে গেলেন না দেখার দেশে। দেশের ক্রিকেটে রেখে গেলেন অজস্র স্মৃতি। যা প্রকৃত অর্থেই মণি মাণিক্য। মৃত্যুকালে বাপু নাদর্কানির বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন।
১৯৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে জাতীয় দলের জার্সিতে ৪১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই বাপু নাদকার্নিই শুক্রবার সন্ধেয় মুম্বইয়ে নিজের মেয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুম্বইয়ের ক্রিকেটে খেলে কিংবদন্তি আখ্যা পেলেও আসলে তিনি নাসিকে। বিশ্বক্রিকেটে তিনি প্রসিদ্ধ কৃপণতম বোলিং করার নিরিখে। ওভার পিছু তিনি রান দিয়েছেন ১.৬৭ রান। যা আজও রেকর্ড। তাঁর স্পিন রহস্যের মায়াজাল ভেদ করতে পারেননি তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরাও।
প্রাক্তন ক্রিকেটার বাপু নাদকার্নি, নরি কন্ট্রাক্টর, পলি উমরিগর এবং দিলীপ সারদেশাই (এক্সপ্রেস ফোটো আর্কাইভ, নীরজ প্রিয়দর্শী)
১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাইতে (তৎকালীন মাদ্রাজ) ৩২ ওভার বোলিং করে ৫ রান দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৭ ওভারে ব্যাটসম্যানরা কোনও রানই তুলতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ২১টি ওভার ছিল পরপর মেডেন। সেই রেকর্ড আজও কোনও বোলার ভাঙতে পারেননি। তারও আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৬০-৬১ হোম সিরিজে কানপুরে তাঁর বোলিং গড় ছিল ৩২-২৪-২৩-০ এবং দিল্লিতে ৩৪-২৪-২৪-১। টেস্টে তাঁর মোট উইকেট সংখ্যা ৮৮টি।
অবশ্য শুধু বোলিংয়েই নন, ব্যাট হাতেো মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। টেস্টে ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ১৪১৪ রান। এর মধ্যে একটি শতরান সহ সাতটা হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। ১৯২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অংশ নিয়ে ৪০.৩৫ গড়ে ৮৮৮০ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ম্যাচের উইকেট সংখ্যা ৫০০টি।
এমন নক্ষত্রের প্রয়াণে শোকাহত বিশ্বক্রিকেট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি আইসিসির তরফেও দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
Read the full article in ENGLISH