জাতীয় দলে বেশি সুযোগ পাননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ছিলেন। টিম ইন্ডিয়ায় একসময়ে প্রতিশ্রুতিমানদের তালিকায় রাখা হত তাঁকে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশি সুযোগ না পেয়ে অবসর নিয়ে ফেললেন সুদীপ ত্যাগী। প্রথম শ্রেণি সহ সমস্ত রকমের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার পর আপাতত তিনি লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চান।
২০০৯, ২০১০ এ ধোনি জমানায় ৩৩ বছরের সুদীপ জাতীয় দলের হয়ে ৪টে ওডিআই এবং ১টি টি২০-তে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন হায়দরাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের হয়ে। চোট আঘাতে জর্জরিত ছিল ১০ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার। এর মধ্যেই ৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলে সুদীপ ১০৯টি উইকেট দখল করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষবার সুদীপ ত্যাগীকে দেখা গিয়েছিল ২০১৭-এ। আইপিএলে সুদীপ খেলেছেন ধোনিরই সিএসকেতে।
আরো পড়ুন: টেনিস ছেড়ে অভিনয়! সিনে দুনিয়ায় অভিষেক ঘটতে চলেছে গ্ল্যাম গার্ল সানিয়ার
সংবাদসংস্থাকে সুদীপ জানিয়েছেন, "জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এর জন্য আমি গর্বিত। আমার ক্রিকেট যাত্রায় অনেকে সাহায্য করেছেন। প্ৰথমেই বল রঞ্জি দলের অধিনায়ক কাইফের কথা। উনি আমাকে ভরসা জুগিয়েছেন। গাজিয়াবাদ থেকে সুরেশ রায়নাকে দেখে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির নেতৃত্বে আমার অভিষেক ঘটে। ওঁকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।"
একদশকের বেশি ক্রিকেট খেললেও চোট আঘাতে সমস্যায় পড়েছেন বারবার। সেকথা জানিয়ে সুদীপ বলেছেন, "একের পর এক চোট পেয়ে একসময় ২.৫-৩ বছর খেলার বাইরে ছিলাম। প্রথমে কাঁধে, তারপর গোড়ালির চোট লেগে যায়। কেরিয়ার ঠিকভাবেই এগোচ্ছিল। তবে তারপরেই চোট আঘাতের ধাক্কা সইতে হয়। বলা হয় চোট খেলারই অংশ। তবে আমি যদি বারবার চোট না পেতাম, তাহলে হয়ত আরো বেশিদিন খেলতে পারতাম। ভারতে ক্রিকেটে এত প্রতিযোগিতা, চোট আঘাতের জন্যই অনেকে পিছিয়ে যায়।"
উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে বর্তমানে সুদীপ থাকেন হায়দরাবাদে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, "চোট আঘাতকে দোষারোপ করতে চাই না। তবে মনে হয় আর বেশি খেলতে পারতাম। যাইহোক, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এখনো তা নিশ্চিত নয়।"
লঙ্কান লিগে সুদীপ যোগ দিলে ইরফান পাঠান, মুনাফ প্যাটেল, মনপ্রীত গোনির পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেট লিগে যোগ দেবেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন