Jasprit Bumrah bowling analysis: জসপ্রীত বুমরাহ'র রবিবারের বোলিং স্পেলে ৩-১-৪-৩ পরিসংখ্যান এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৬.৯৮ গড়ে ৬১ উইকেট সংগ্রহ, যার মধ্যে এই সিরিজেই শুধু ১২.২৭ গড়ে ২৯ উইকেট- এই টেস্ট, এই সিরিজ বা শেষ সেশনের উত্তেজনাই এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দেয়নি, বরং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে ঝড় তৈরি করে দিয়েছে।
টেস্টে ২০২ উইকেটে পৌঁছে গিয়েছেন। তাও আবার ১৯.৫৬ গড় নিয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে যে কোনও বোলারেরই গড় বিবেচনায় সেরা। রবিবার বুমরা ঝড়ের সূত্রপাত-ই হয়েছিল স্যাম কনস্টাসকে আউট করার মাধ্যমে। এবং তাঁর ২০০তম উইকেট ছিল ট্রাভিস হেড- যারা দুজনেই ভারতের জন্য চিন্তার উদ্রেক করেছেন কোনও না কোনওভাবে।
দিনের শেষ ওভারে ক্লান্ত বুমরাহর ১২ রান খরচ করে বসেন। শেষ উইকেট লিয়ন-বোল্যান্ড জুটি অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা আশা দেখিয়ে লিড অনেকটাই বাড়িয়ে।নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছেন। তবে গোটা দিন ধরেই অধিনায়ক রোহিত শর্মার ছোট ছোট স্পেলে বুমরাকে দিয়ে বল করিয়ে নিয়েছেন। এমনই একটা স্পেলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ে কাঠামো ধ্বংস করে দেন বুম বুম বুমরা। তিন ওভারের স্পেলে তিনটি উইকেট সহ বুমরাহ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ফক্স ক্রিকেটের নতুন প্রযুক্তি, নিউজিল্যান্ডের কোম্পানি ভার্চুয়াল আই-এর তৈরি, বুমরাহর ম্যাজিক নিয়ে চমকপ্রদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। যদিও এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পরেও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা তাঁকে সামলানোর কোনও টোটকাই বের করতে সমর্থ হয়নি।
ফক্স বায়োমেট্রিক প্রকাশ করেছে যে বুমরাহর ডেলিভারির সময় বাহুর গতি প্রায় ৭৫ কিমি/ঘণ্টা হয়ে থাকে। বল রিলিজ করার সময় স্পিড দাঁড়ায় প্রায় ১৩৫ কিমি/ঘণ্টায়। এর অর্থ বুমরার ম্যাজিকাল ডান কব্জি প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা শক্তি তৈরি করতে পারে।
মাইকেল ভন বুমরাহকে GOAT বলেছেন। বলে দিয়েছেন যে বুমরাহ মোটেও গতি-নির্ভর বোলার নন। “আমি ভাবতাম যে গতি হয়ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বুমরা মাত্র ১৮ কিমি/ঘণ্টা গতিতে দৌড়ায়। তাহলে (গতি সম্পর্কে) এটা কী বোঝায়? যখন (স্পিনার) রবীন্দ্র জাদেজার রান আপ স্পিড মাত্র ১৬ কিমি/ঘণ্টা। প্যাট কামিন্স-এর রান আপের গতি প্রায় ২৩ কিমি/ঘণ্টায়)" ভন ব্যাখ্যা করেছেন।
“হয়তো গতি এত গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা আমরা ভাবতাম। আমি অপেক্ষা করছি ইংল্যান্ডের মার্ক উড আগামী বছর কত গতিতে দৌড়ায় তা দেখার জন্য। আমার মনে হচ্ছে সেটা প্রায় ৩০ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে,” ভন ব্যাখ্যা করে বলেছেন।
ফক্স-রে, ফক্স ক্রিকেটের আরেকটি টুল, খেলোয়াড়দের অস্থি বিন্যাস বিশ্লেষণ করে, এই সিজনের দুই দুর্ধর্ষ পেসার – বুমরা এবং প্যাট কামিন্স – সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় যোগসূত্র স্থাপন করেছে। সেই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “তাঁদের দুজনের সামনের পা সম্পূর্ণ সোজা থাকে, যা তাঁদের শক্তির মূল ভিত্তি। এটা বেশিরভাগ ফাস্ট বোলারদের থেকে আলাদা, যাঁদের সামনের পা বাঁকা থাকে। তরুণ বোলারদের উচিত এই বিষয় নোট করা।”