Advertisment

এখানে খালি পায়ে ধুতি-পাঞ্জাবীতেই ক্রিকেট, ধারাভাষ্য় দেওয়া হয় সংস্কৃতিতে

ভারতীয়রা এখন ধুতি-পাঞ্জাবী পরতে রীতিমতো হিমশিম খায়, অথচ এই পোশাক পরেই চুটিয়ে খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, রীতিমতো টুর্নামেন্ট! একথা ভেবেই চোখ কপালে উঠতে পারে অনেকের। কিন্তু এটাই বাস্তব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sanskrit Cricket League

এখানে খালি পায়ে ধুতি-পাঞ্জাবীতে ক্রিকেট খেলা হয়, ধারাভাষ্য় দেওয়া হয় সংস্কৃতিতে

ধুতি-পাঞ্জাবী বা ধুতি-কুর্তা। এদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক বলেই পরিচিত। এক সময় পুরুষদের দৈনন্দিন পোশাকের তালিকায় এটাই প্রাধান্য পেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধুতি-পাঞ্জাবীর জায়গা করে নিল প্য়ান্ট-শার্ট। এখন কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়ার হলেই আলমারির থেকে বেরিয়ে আসে ধুতি-পাঞ্জাবী। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও এর যথেষ্ট কদর আছে। একেবারেই ব্রাত্য নয়। তবে খুব কম সংখ্যক মানুষই প্রতিদিনের ব্যবহৃত পোশাকে এই যুগলবন্দিকে ঠাঁই দিয়েছেন।

Advertisment

ভারতীয়রা এখন ধুতি-পাঞ্জাবী পরতে রীতিমতো হিমশিম খায়, অথচ এই পোশাক পরেই চুটিয়ে খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, রীতিমতো টুর্নামেন্ট! একথা ভেবেই চোখ কপালে উঠতে পারে অনেকের। কিন্তু এটাই বাস্তব। এক-আধ বছর নয়, শেষ দশ বছর ধরে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আর খালি পায় খেলা হয় সংস্কৃত ক্রিকেট লিগ। এখানেই শেষ নয়, চমক আছে আরও। এই খেলায় হিন্দি বা ইংরাজিতে ধারাভাষ্য় দেওয়া হয় না। সেটাও শুদ্ধ সংস্কৃতিতেই। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। এমনটাই হয় বারাণসীতে। সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিদ্যালয়ের উদ্যেগে বারণসীর পাঁচটি সংস্কৃত স্কুল এই দশ ওভারের ম্যাচে অংশ নেয়।

আরও পড়ুন: কয়েনের বদলে ব্যাট ঘুরিয়ে টস! 

Advertisment

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রত মহাবিদ্যালয়ের আচার্য পবণ কুমার শাস্ত্রী বললেন, "এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। এই টুর্নামেন্ট সংস্কৃত ক্রিকেট লিগ নামেই পরিচিত। অন্যদিন ছেলেদের হাতে বেদ আর পেন থাকে। আজ ওদের হাতেই ব্যাট-বল। আমরা প্রতি বছর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করি। এখানে সংস্কৃতেই ধারাভাষ্য় দেওয়া হয়। এটাই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় অভিনবত্ব।"

Advertisment