Future of Commonwealth Games: ক্রিকেট, হকি এবং রাগবির মত খেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গ্লাসগো উলটে খেলার সংখ্যা, ক্রীড়াবিদের সংখ্যা, খেলার জায়গা- সবকিছুই কমিয়েছে। উপনিবেশ পরবর্তী বাস্তবতা, অর্থনৈতিক বাস্তববাদ এবং পুরোনো সাম্রাজ্যের অপ্রাসঙ্গিকতা বোঝায় যে, সদ্য প্রস্তাবিত ১০টি খেলার কমনওয়েলথ গেমস বর্তমানে শুধুমাত্র সোনালি অতীতের দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন। এখানে বাজেট বড় সমস্যা, ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার জেরে হকি, ব্যাডমিন্টন, স্কোয়াশ, টিটির মত খেলাও বাদ পড়তে পারে কমনওয়েলথ গেমস থেকে। এছাড়াও আরও অন্যান্য খেলা বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চার বছর পরপর কমনওয়েলথ গেমস হয়। ২০২২ সালে ডারবানে হয়েছিল। তারপর ২০২৬ সালে গ্লাসগোতে হবে। তারপরও কমনওয়েলথ গেমসে অর্থাভাব যেন কমছেই না। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া তো রীতিমতো হাত তুলে দিয়েছে। জানিয়েছে, তারা কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন করতে পারবে না।
শুধু তাই নয়, ভারত, কানাডা বা মালয়েশিয়ার মত যেসব দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারাও এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে রাজি হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডও সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। বাধ্য হয়েই গ্লাসগোতে গেমসের আয়োজন করতে হচ্ছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী। তাঁরা মনে করছেন, ২০৩০ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। গ্লাসগোতে যে চারটি জায়গায় খেলা আয়োজিত হবে, সেগুলো আট মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে রয়েছে। এটা স্রেফ খরচ বাঁচানোর জন্য। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- গ্যারেজ মালিকের ছেলে মুহূর্তে লাখপতি, হকি লিগ আমির বানাল হজরতগঞ্জের যুবককে
গেমস থেকে বাদ পড়তে চলেছে ক্রিকেট, রাগবির মত খেলাও। প্যারা স্পোর্টসকেও এই গেমসের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের পদক জয়ের আশা কমেছে। এই অবস্থায় পদক জয়ের আশা করলে ভারতকে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস এবং সাইকেল চালানোর মত খেলায় জোর দিতে হবে। ব্রিকসে ভারতের বন্ধু ব্রাজিলও তাই করছে।