পৃথিবীর সুন্দর ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা শ্রীলঙ্কার গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। ছবির মতো সুন্দর এই স্টেডিয়াম দ্বীপরাষ্ট্রের অন্যতম আকর্ষণও বটে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে যে, গলকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
ইউনেসকো-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা ধরে রাখার জন্যই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে শ্রীলঙ্কার সরকার। গলের গা ঘেঁষেই রয়েছে সপ্তদশ শতকের নির্মিত এক ডাচ দুর্গ। দুর্গের পাশেই স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ডটির অবৈধ নির্মাণ। ২০০৪-এর ভয়ঙ্কর সুনামিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গল স্টেডিয়াম। এরপর সংস্কারের সময় ৫০০ আসন বিশিষ্ট ওই প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ডটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই স্ট্যান্ডের জন্যই ইউনেসকো দুর্গের থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান কেড়ে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অস্তাচলে ইডেন পার্ক, বিকল্পের সন্ধানে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট
যদি সত্যিই গল ভেঙে ফেলা হয় তাহলে, আগামী ৬-১০ নভেম্বর ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচটিই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে।ভারতীয় মহাসাগরের তীরেই এই গল স্টেডিয়াম। ফলে অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য বহু ট্যুরিস্ট এই মাঠে আসেন। শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী উইজেয়াদাসা রাজাপাকশে বলছেন, “আমাদের এখন একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। হয় আমরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় থাকব, নয় প্যাভিলিয়ন রেখে দেব।” অন্যদিকে সেদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী ফইসজার মুস্তাফা বলছেন, “এক্ষুণি আমরা স্টেডিয়াম ভাঙার কথা ভাবছি না। গলে হয়তো নতুন স্টেডিয়াম হতে পারে। আমরা দুর্গের জন্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজটা বজায় রেখেই স্টেডিয়ামের বিকল্প ভাবব।” অন্যদিকে দেশের ৯৬-র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রণতুঙ্গা এই মুহূর্তে সেদেশের মন্ত্রী। তিনিও ক্রীড়ামন্ত্রীর সুরে গলা মিলিয়ে বলেছেন, “আমাদের দু’টো দিকই বজায় রাখতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলতে চাই গলে।” বর্তমান স্ট্যান্ডটিকে ভেঙে, টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন সেখানে বসার জন্যে অস্থায়ী কিছু আসনের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাহেলা জয়বর্ধনেও এই স্টেডিয়াম ভাঙার সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন।