অস্ট্রেলিয়া সফর পর্যালোচনা আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড গড়তে বৈঠক করলেন বিসিসিআই কর্তা এবং বোর্ডের নির্বাচকরা। বৈঠকে ছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীরও। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠকে ভারতীয় দলের দুই প্রধান ব্যাটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজে হার এবং ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতা কোহলি এবং রোহিতকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় অবশ্যই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর ২০২৪ সালে কোহলি এবং রোহিত দুজনেই মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও কোহলি এবং রোহিতের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন সমালোচকরা। কলম্বোয় কোহলি করেছেন ২৪, ১৪ এবং ২০ রান। আর, রোহিত ৫৮, ৬৪ এবং ৩৫। তবে সামগ্রিকভাবে, কোহলি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একজন চ্যাম্পিয়ন পারফরমার্স।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সামনেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সেই ইস্যুতেও উঠেছে কোহলি প্রসঙ্গ। ভারতীয় তারকা এখন ফর্মে নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকতম ম্যাচে, পার্থে সেঞ্চুরি করার পরেও, কোহলি গোটা সিরিজে মাত্র ১৯০ রান করেছেন, গড় ২৩.৭৫।
আর, রোহিতের অবস্থা তো বিজিটে ছিল আরও খারাপ। প্রথম টেস্টে না খেলার পর পঞ্চম ম্যাচে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। সিরিজে ৬.২ গড়ে ৩১ রান করেছেন। এই পারফরম্যান্সগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। গম্ভীরের মতামত চাওয়া হয়েছে, দুই খেলোয়াড়কে ভবিষ্যতে টেস্ট ফরম্যাটে রাখাটা ঠিক হবে কি না, সে ব্যাপারে।
আরও পড়ুন- সিলেটের মাঠে 'কুকীর্তি'তেও হেলদোল নেই একবগ্গা তামিমের, দরকার হলে ফের একই আচরণের হুঁশিয়ারি
পাশাপাশি, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন গম্ভীরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলবে। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে অভিযান। নির্বাচকদের কাছে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত দল ঘোষণার সময় আছে। বুমরা পিঠের ব্যথা থেকে সেরে উঠেছেন। শামিও চোট সারিয়ে ফিরেছেন দলে। গোড়ালির অস্ত্রোপচারের জন্য ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে আর খেলেননি শামি। বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফিজিক্স সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই শামিকে দলে ফেরানো হল।