কোনো সন্দেহ নেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন একজন ম্যাচ উইনার। টেস্টে অশ্বিন প্রথম একাদশে অটোমেটিক চয়েস। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জায়গা হারিয়েছেন বহুদিন হল। ২০১৭-র আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর রঙিন জার্সিতে আর নিয়মিত খেলেননি তিনি। মাঝে কিছু সময়ের জন্য ২০১৮-য় খেললেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপগামী দলে জায়গা করে নিতে পারেননি।
সেই সময় অশ্বিন সীমিত ওভারের ফরম্যাটে মোটেই ভাল পারফর্ম করতে পারছিলেন না। সেই কারণে অশ্বিনকে বাইরে রেখে কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চাহাল জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে যান। সাম্প্রতিককালে টেস্টে দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে এখনই তাঁকে ফেরানোর পরিকল্পনা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের তা টি২০ স্কোয়াডের দল নির্বাচনেই স্পষ্ট।
আরো পড়ুন: মনীশ পান্ডের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার প্রায় শেষ! ঠিক হয়ে গেল শনিবারই
গুজরাটের নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্টে খেলতে নামছে। তার আগেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আরো একবার অশ্বিনকে ব্রাত্য করে দেওয়ার পরে মুখ খুললেন গৌতম গম্ভীর, আশিস নেহরারা।
স্টার স্পোর্টসে গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছেন, "যে ৪০০ টেস্ট উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে এবং পাঁচটি টেস্ট শতরান রয়েছে, তাঁকে সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে বাদ দেওয়া" দুর্ভাগ্যজনক। ও একজন ক্লাস বোলার। বোলিংয়ের সূক্ষ্ম বৈচিত্র্য এনে বোলিং করাই ওঁর বৈশিষ্ট্য। যতদিন এবং যে পরিমাণ ও ক্রিকেট খেলেছে তাঁতে যেভাবে ও ম্যাচে প্রভাব ফেলে সেটা অবিশ্বাস্য।"
আরো পড়ুন: হায়দরাবাদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না সানরাইজার্সকে! আগুনে হুমকির মুখে ওয়ার্নাররা
গম্ভীরের সুরেই কথা বলেছেন প্রাক্তন তারকা আশিস নেহরা। তিনি বলেছেন, "ঘরের মাঠে এমনই প্রথমবার নয় যে অশ্বিন ম্যাচে এরকম প্রভাব বিস্তার করেছে। হোম কন্ডিশনে খেলার সময়ে যেভাবে নিজের অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলে সেখানেই আসল তফাৎ হয়ে যায়।"
পাশাপাশি নেহরা আরো বলেছেন, "ও বরাবর ক্রিকেটের বাধ্য ছাত্র। সবসময় শিখতে চায়। ওর কিছু ফিটনেস সমস্যা ছিল। কোচ রবি শাস্ত্রীকেও বলতে শুনেছি, ও ফিটনেস নিয়ে খাটছে। যাতে ও আরো লম্বা স্পেলে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে পারে।"
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অশ্বিন ওয়ানডে এবং টি২০-তে শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ১৫০ ও ৫২টি। আইপিএলেও নিয়মিত খেলেন। বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস স্কোয়াডের সঙ্গে রয়েছেন। টেস্টে ৩৯৪টি শিকার তাঁর। দেশের চতুর্থ বোলার হিসাবে ৪০০ টেস্ট উইকেটের মালিক হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা দক্ষিণী স্পিনারের। আহমেদাবাদে তৃতীয় টেস্টেই এই কীর্তি গড়ে ফেলতে পারেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন