Team India head coach Gautam Gambhir likely to be sacked: অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ভারতীয় দলের ফলাফল খারাপ হলে গৌতম গম্ভীরকে টেস্ট দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হবে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গিয়েছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের শুরুটা ভালো হয়নি! অস্ট্রেলিয়ায় ভারত ভালো পারফর্ম না করলে তাই টেস্ট দলের কোচের চাকরি হারাতে পারেন তিনি।
কোচ হিসেবে গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই রোহিত শর্মার দল প্রথমে ২৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। তারপরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। বিসিসিআইয়ের আশা ছিল, টিম ইন্ডিয়াকে গম্ভীর সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু, বাস্তবটা একেবারেই বদলে গিয়েছে ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারত হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর। কারণ, এখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের ওঠা কার্যত অসম্ভব। কারণ, সেটা করতে গেলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আসন্ন টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত ৪টি ম্যাচে হারাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের একনম্বর ক্রিকেট দল। তাদেরকে একটা ম্যাচে হারানোই চাট্টিখানি কথা না। তার ওপর পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হারানো, কার্যত অসম্ভব। এটা বিসিসিআইও পরিষ্কার বুঝতে পারছে।
তবুও, আশায় বাঁচে চাষা। তাই গম্ভীরকে একটা শেষ সুযোগ দিতে চায় বিসিসিআই। সেই সুযোগ হল, অস্ট্রেলিয়ায় তাঁকে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে হবে। আর, সেটা করতে ব্যর্থ হলেই তাঁকে দলের টেস্ট কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, গম্ভীরের জায়গায় বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই), বর্তমান ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে ভারতীয় টেস্ট দলের দায়িত্ব দিতে পারে।
তবে, টেস্ট কোচের দায়িত্ব থেকে সরালেও গম্ভীরকে ভারতীয় দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে ছাড়তে নারাজ বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে তাঁকে সাদা বলের টিমের কোচ হতে বলা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই বিভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেই ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে, গম্ভীর ব্যাপারটা কতখানি মানতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
গোটা বিশ্বের ক্রিকেট দুনিয়ার এখন নজর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ডব্লিউটিসি। যা পরের বছর লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে। সেই লড়াইয়ে জায়গা পেতেই এখন টেস্ট ম্যাচগুলো জিততে মরিয়া সব দলই। হিসেব বলছে, ওই লড়াইয়ে জায়গা পেতে ভারতকে কমপক্ষে দুটো টেস্ট ম্যাচ জিততেই হবে। তবে, তাতেও ভারত জায়গা পাবে কি না, নিশ্চিত নয়। বরং, টিম ইন্ডিয়া চার থেকে পাঁচটি টেস্ট জিতলে তবে, একটা সুযোগ আছে। আর, সেই চার থেকে পাঁচটি টেস্ট বলতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে খেলতে হবে।
শুক্রবার, বিসিসিআই কর্তারা ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর, প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার ও ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারের ব্যাপারে ছয় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে কিছু বিষয় নিয়ে গম্ভীর এবং ভারতীয় থিংক-ট্যাঙ্কের মধ্যে মতবিরোধের কথা জানা গিয়েছে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে পিচ নিয়ে রোহিত আর গম্ভীরের ভাবনার ফারাক ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন- রোহিত-কোহলি নন, কঠিন সময়ে বারবার ফোন সূর্য-গম্ভীরের! সেঞ্চুরি করেই আসল নায়কদের নাম উচ্চারণ সঞ্জুর
তবে, সেসব যাই হোক। ফলাফলটাই শেষ কথা। আর, সেটা হল যে কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পরই গম্ভীরের দল দুটো সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার পার্থ-এ ২২ নভেম্বর বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে। বাকি টেস্টগুলো হবে- অ্যাডিলেড (গোলাপি বলের টেস্ট), বিসব্রেন, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে। এই মার্কি সিরিজকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট পার্থ-এ ভারত এ দলের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে।