চ্যাম্পিয়নরা এভাবেই শেষ করেন। যেমনটা করলেন দেশের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। গত ৪ ডিসেম্বর টুইট করে গম্ভীর অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন যে, ঘরের মাঠ ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লি বনাম অন্ধ্রপ্রদেশের রঞ্জি ম্যাচই তাঁর শেষ। এরপর আর বাইশ গজে নামবেন না তিনি। হাতে তুলবেন না ব্যাট। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে গম্ভীর খেলে ফেলেলেন জীবনের অন্তিম ইনিংস। ক্রিকেট বিধাতার ইচ্ছায় ফেয়ারওয়েল ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন ঝকঝকে সেঞ্চুরিতে।
গম্ভীরের হাত থেকে এসেছে ১৮৫ বলের অনবদ্য ১১২ রানের ইনিংস। শতরানের পথে দশটি চার এসেছে দিল্লি নিবাসীর ব্যাট থেকে। অন্ধ্রর প্রথম ইনিংসের ৩৯০-এর জবাবে দিল্লি স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪০৯ রান। এদিন দিল্লির হয়ে দু’রানের জন্য সেঞ্চুরি মাঠে রেখে আসতে হয়েছে অধিনায়ক ধ্রুব শোরেকে। ৯৮ রানে আউট হয়ে যান তিনি। হিতেন দালালের ব্যাট থেকেও এসেছে ৫৮ রান।
আরও পড়ুন: গম্ভীরকে স্পেশ্যাল ট্যালেন্ট বললেন শচীন, শুভেচ্ছা জানালেন নাইটদের ক্যাপ্টেনও
গতকাল গম্ভীরকে দু’দলের পক্ষ থেকেই গার্ড অফ হনার দেওয়া মাঠে নামার সময়। এছাড়াও একজন ফ্যান নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে গম্ভীরের সঙ্গে সেলফি তোলারও চেষ্টা করেন। ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন গম্ভীরের স্ত্রী ও দুই কন্যা। গম্ভীরের বিদায়ী ম্যাচে অন্ধ্রই তাঁকে সেঞ্চুরিটা উপহার দিল। গম্ভীর দু’বার স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরোজ শাহ কোটলা গম্ভীরকে শতরানই দিল। গম্ভীরের বিদায়ের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটের একটা অধ্য়ায়।