আইপিএল ইলেভেনে আর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে না গৌতম গম্ভীরকে। বুধবার ক্যাপ্টেনশিপ ছেড়ে দিলেন গৌতি। দিল্লির নয়া অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা করলেন দিল্লির বাঁ-হাতি ওপেনার।
আরও পড়ুন, এটাই কি গম্ভীরের শেষ আইপিএল? ভিডিও দেখুন
এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় সবার নিচে দিল্লি। আট দলের এই লড়াইয়ে সাতে দেশের রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখনও পর্যন্ত ছটি ম্যাচ খেলে পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে গম্ভীরের দিল্লি। গম্ভীরের নিজের ফর্মও বলার মতো নয়। পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহে ৮৫ রান। দলের ব্যর্থতার জন্য নিজেকেই দুষছেন গম্ভীর। বললেন, “আইপিএল-এ দলের এই অবস্থার জন্য আমি দায়ী। আমি অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমার পরিবর্তে আয়ার ক্যাপ্টেনসির দায়িত্ব নিচ্ছে।” চাপে পড়ে বা কারোর কথায় ক্যাপ্টেনসি ছাড়েননি গম্ভীর। একথাও সাফ জানিয়ে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান যোগ করলেন, “এই সিদ্ধান্ত একান্ত আমার। আমিই দলের কর্ণধারকে এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকার কথা বলেছিলাম।” নিজের ব্যর্থতা নিয়ে গৌতির বক্তব্য,“আমার মনে হয় আমি দলে সেভাবে অবদান রাখতে পারিনি। একই সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সের দায় নেতা হিসেবে আমার উপরেই বর্তায়। আমার মনে হয় সরে দাঁড়ানোর এটাই ঠিক সময়।”
আরও পড়ুন, আইপিএল ২০১৮: চোখের জলে আইপিএল অভিষেক পৃথ্বীর, কিন্তু এমন কী হল মাঠে!
এদিনের বৈঠকে গম্ভীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের কোচ রিকি পন্টিং, সিইও হেমন্ত দুয়া ও নয়া অধিনায়ক আয়ার। ক্যাপ্টেনসির গুরুদায়িত্ব পেয়ে তিনি বললেন, “ম্যানেজমেন্ট ও কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে নিয়োগ করার জন্য। আমার কাছে এটা অত্যন্ত সম্মানের।" এই মরশুমে ফের একবার দিল্লির মসনদ ফিরে পেয়েছিলেন গম্ভীর।২০০৮-এ ঘরের টিমের হয়ে আইপিএল অভিষেক করেছিলেন গৌতি। ২০১০ পর্যন্ত দিল্লিতে ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলে ব্রাত্য এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। এরপর ২০১১-তে অধিনায়ক হিসেবেই যোগ দেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। সাত বছর নাইটদের জার্সিতে খেলে দু বার দলকে (২০১২, ২০১৪) আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন গম্ভীর। এই মরশুমে ২.৮ কোটি টাকায় গম্ভীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।