সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গৌতম গম্ভীরের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন তিনি-ই। এমনই মন্তব্য করে চাঞ্চল্য ফেলে দিলেন পাকিস্তানের পেসার মহম্মদ ইরফান। পাকিস্তানের এক ইউটিউব চ্যানেল ক্রিক কাস্ট এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইরফান বলেন, "যেভাবে আমি বল করছিলাম, তা গম্ভীর দেখতেই পারছিল না। যেভাবে ও আমার বাউন্সার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল, তাতে সবাই বলছিল, গম্ভীর সুলভ লাগছে না মোটেই।"
এরপরেই গম্ভীরকে নিয়ে ইরফান আরো জানান, "আমার গতি আর উচ্চতা ওঁকে সমস্যায় ফেলছিল। সেই সিরিজের পরেই ওকে বাদ দেওয়া হয়। সেখান থেকেই বিষয়টা বুঝতে পারি।"
আরও পড়ুন
ধোনিকে শাস্তির ভয় দেখিয়ে নিজেই চমকে যান আম্পায়ার! জানুন সেই গল্প
২০১২ সালের ঘটনা। সেই সময়েই পাকিস্তানের পেস ব্রিগেডে আত্মপ্রকাশ করেন মহম্মদ ইরফান। ৭ ফুট লম্বা পেসারের দ্রুত গতির বল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ইরফানের দুরন্ত উত্থানের সৌজন্যেই টি২০ সিরিজ ১-১ এ ড্র করার পর ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জেতে পাকিস্তান।
সেই সিরিজের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে পাক পেসার জানালেন, "যখনই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয় তখনই আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। যারা পারফর্ম করে তারা হিরো আর ব্যর্থ হলেই রাতারাতি জিরো হয়ে যায়।"
শুধু গম্ভীর নয়, বিরাট কোহলিও তাঁর পেস বুঝতে সমস্যায় পড়ছিল। মনে করছেন ইরফান। কোহলির প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। "ড্রেসিংরুমে কোহলিকে বলা হয়েছিল, ইরফান নাকি ১৩০-১৩৫ কিমি গতিতে বল করে। ও ব্যাট করতে নামার পরে প্রথম বলটাই ১৪৫-১৪৬ কিমিতে করি। তার পরের বলটাই ছিল ১৪৭ কিমি। পরে ও কোচকে জানায় হয় তিনি মিথ্যা কথা বলছেন অথবা স্পিডোমিটারের সমস্যা রয়েছে।" বলছিলেন তিনি।
পরে আলাপ করার সময়ে ইরফানকে এই কথা জানান স্বয়ং বিরাট। ইরফানের সংযোজন, "বিরাট পরে এই ঘটনার কথা আমাকে সরাসরি জানায়। যখন ১৫০-এ বল করি, তখন বিরাট তাঁর পাশের জনকে গালাগালি দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, এ কেমন মিডিয়াম পেসার যে এত দ্রুত বল করে।"
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন