ভাল পিচে খেলা হলে তবেই তা টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষে আদর্শ। এমনটাই মনে করছেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখার ফ্যাক্টর আপাতত একটাই। তা হল পিচ। জানাচ্ছেন কিংবদন্তি। রবিবারে এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে শচীন জানালেন, "যে সারফেসে ক্রিকেট খেলা হয়, সেটাই টেস্ট ক্রিকেটের হৃদয়। ভাল পিচে খেলা হলে, ক্রিকেট কখনও বিরক্তির উদ্রেক ঘটাবে না। নিস্তেজ মনে হবে না খেলা। আর ম্যাচে সবসময়েই উত্তেজক মুহূর্ত, কিংবা একটা ভাল বোলিং স্পেল, ব্যাটিং দেখা যাবে। দর্শকরা এটাই দেখতে পছন্দ করেন।"
মুম্বইয়ের হাফ ম্য়ারাথনে গিয়ে শচীন চলতি অ্যাসেজে আর্চার এবং স্মিথের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। বলেন, "দুভার্গ্যবশত, স্মিথ চোট পেয়ে গিয়েছিল। এটা ওর কাছে বড় ধাক্কা। তবে যখন জোফ্রা আর্চার সরাসরি ওঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, তখন সেটা আরও বেশি চিত্তাকর্ষক ছিল। এটা এতটাই উত্তেজক ছিল যে টেস্ট ক্রিকেটের দিকে আবার ফোকাস ফিরে এসেছিল।"
তিনি আরও বলেন, "লর্ডসে কার্যত দেড়দিন ওরা পিছিয়ে ছিল। তবে সমস্ত উত্তেজনা বাড়িয়ে ইংল্যান্ডও যখন অস্ট্রেলিয়ার উইকেট নিতে শুরু করল, তখন অজিদের আত্মরক্ষার জন্য খেলতে হচ্ছিল। ঠিক এরকমটাই হওয়া উচিত টেস্ট ক্রিকেট।"
বিশ্বকাপ শেষ। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পালা। ভারত যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আত্মপ্রকাশ করেছে, তেমনই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের অ্যাসেজ দ্বৈরথেও রয়েছে সেই চ্যাম্পিয়নশিপের হাতছানি। এতেই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আরও আকর্ষণ বাড়ছে। এমনটাই মনে করেন কিংবদন্তি। তিনি বলেছেন, "চার-পাঁচ সপ্তাহ আগেই বিশ্বকাপের খেলা ছিল। প্রত্য়কেই কার্যত ভুলে গিয়েছেন বিশ্বকাপের বিষয়। এখন সকলেই টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছেন।"
এখানেই টেস্ট ক্রিকেটের পিচের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। "টেস্ট ক্রিকেট পুরনো গরিমা ফিরে পেতে পারে যদি ঠিকঠাক পিচে ম্যাচ আয়োজন করা হয়। তবে পাটা পিচে খেলা হলে তা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।"
Read the full article in ENGLISH