চলতি বছরেই বিশ্বকাপ। টি২০ বিশ্বকাপের কথা ভেবে হার্দিককে প্রধান অস্ত্র ভেবে এগোনো হচ্ছিল টিম ইন্ডিয়ার তরফে। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজে হার্দিকের প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। তবে হার্দিক ফিটনেস টেস্টেই উতরোতে পারলেন না।
পিঠের চোটের কারণে বেশ কয়েকমাস জাতীয় দলের বাইরে হার্দিক। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আগে নিউজিল্যান্ডে ভারতীয়-এ দলেও রাখা হয়েছিল তারকা অলরাউন্ডারকে। তবে এদিন ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় হার্দিকের প্রত্যাবর্তন আরও পিছিয়ে গেল। জাতীয় দলের জন্যও যা একপ্রকারল ধাক্কা।
২০১৯-২০ রঞ্জি ট্রফিতে খেলে ফিটনেসের পরীক্ষায় বসতে হয়নি হার্দিককে। তার আগেই নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতীয়-এ দলের স্কোয়াডে হার্দিককে অন্তর্ভূক্ত করে ফেলা হয়েছিল। সেখান থেকেই নিউজিল্যান্ডে পরের দিকে সফরতম জাতীয় দলে সংযোজন করে ফেলার পরিকল্পনাও ছকা ছিল। তবে হার্দিক সাধারণ ফিটনেস পরীক্ষাতেই ব্যর্থ হলেন। এখনও ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা বাকি।
অস্ত্রোপচারের সময় হার্দিক (তারকার টুইটার)
জানা গিয়েছে, ২৬ বছরের তারকা অলরাউন্ডারের ফিটনেসের মাত্রা বেশ কম। প্রত্যাশার থেকেও অনেকটা নিচে। যার ফলে শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয়-এ দল থেকে ছেঁটে ফেলা হল হার্দিককে। হার্দিকের পরিবর্ত হিসেবে ভারতীয়-এ দলে নেওয়া হয়েছে বিজয়শঙ্করকে। তিনটে সীমিত ওভারের ম্যাচে অংশগ্রহণের আগে দুটো ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও খেলবেন বিজয়শঙ্কর।
পিঠের নিচের অংশে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। তারপরে গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনে অস্ত্রোপচার করতে হয় হার্দিককে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে হার্দিক চোট পেয়েছিলেন। সেখান থেকে চোট সারিয়ে আইপিএল এবং বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি২০ সিরিজ চলাকালীন আরও একবার চোটের শিকার হন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর হার্দিক শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন। তারপরে বেঙ্গালুরু টি২০ থেকে তিনি জাতীয় দলের স্কোয়াডের বাইরে।
Read the full article in ENGLISH