Tennis Player Murder: রান্নাঘরে ঢুকে পর পর গুলি, ঝাঁঝরা রাধিকার শরীর, কেন মেয়েকে খুন করলেন বাবা?

Radhika Yadav Shot dead: রাধিকা একটি টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন। রাধিকাই সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। মেয়ের রোজগারে খেতে হচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছিলেন বাবা দীপক যাদব। এই নিয়ে চরম অবসাদে ভুগছিলেন দীপক।

Radhika Yadav Shot dead: রাধিকা একটি টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন। রাধিকাই সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। মেয়ের রোজগারে খেতে হচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছিলেন বাবা দীপক যাদব। এই নিয়ে চরম অবসাদে ভুগছিলেন দীপক।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
Radhika Yadav Murder Case: নিজের বাড়িতে বাবার হাতেই খুন জনপ্রিয় টেনিস তারকা রাধিকা যাদব

Radhika Yadav Murder Case: নিজের বাড়িতে বাবার হাতেই খুন জনপ্রিয় টেনিস তারকা রাধিকা যাদব

Radhika Yadav Murder Case: নিজের বাড়িতে বাবার হাতেই খুন জনপ্রিয় টেনিস তারকা রাধিকা যাদব (Radhika Yadav)। মেয়েকে লক্ষ্য করে বাবা দীপক যাদব পর পর ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তার মধ্যে তিনটি রাধিকার শরীরকে বিদ্ধ করে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় দুটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৫ বছরের উদীয়মান টেনিস তারকার। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেইসময় রাধিকা রান্নাঘরে ছিলেন। রান্না করছিলেন, সেইসময় পিছন থেকে এসে তাঁর বাবা গুলি চালান। মেয়েকে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন দীপক। কিন্তু কেন মেয়েকে খুন করলেন, চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সামনে।

Advertisment

পুলিশ জানিয়েছে, রাধিকা একটি টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন। রাধিকাই সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। মেয়ের রোজগারে খেতে হচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছিলেন বাবা দীপক যাদব। এই নিয়ে চরম অবসাদে ভুগছিলেন দীপক। পড়শিরাও এটা নিয়ে দীপককে মাঝেমধ্যেই খোঁটা দিতেন। লাগাতার কটাক্ষ আর সহ্য করতে পারছিলেন না দীপক। বাধ্য হয়ে মেয়েকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে বলেন দীপক। বাবার কথায় কান দেননি রাধিকা। এই নিয়েই ঝগড়া-অশান্তি চলছিল। শেষমেশ বৃহস্পতিবার মেয়েকে গুলিই করে দেন দীপক। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন তরুণীকে লক্ষ্য় করে পর পর গুলি! বাবার হাতেই খুন জনপ্রিয় টেনিস তারকা

Advertisment

হরিয়ানার রাজ্যস্তরের টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন রাধিকা। হরিয়ানার গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক ফেজ-২ এলাকায় তাঁর তিনতলা বাড়ি। বৃহস্পতিবার দোতলায় রান্নাঘরে খাবার বানাচ্ছিলেন রাধিকা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর বাবা পিস্তল নিয়ে ঢোকেন রান্নাঘরে। আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করেন। পর পর ৫ রাউন্ড গুলি চালান। তার মধ্যে তিনটি গুলি মেয়ের শরীরে বিঁধে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত অবস্থায়। মেঝে ভেসে যায় রক্তে। গুলির শব্দে পড়শিরাও ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন রাধিকা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

৫১ বছরের দীপক পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘাতক বন্দুকের লাইসেন্স ছিল। গত ১৫ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর অমতে মেয়ে টেনিস অ্যাকাডেমি চালাচ্ছিল। রোজগার করছিল মেয়ে। সেটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। পাড়াপড়শিরা মাঝেমধ্যেই খোঁটা দিত, মেয়ের পয়সায় বসে বসে খাচ্ছে। এই গঞ্জনা আর সহ্য হচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই মেয়েকে গুলি করে খুন করেন দীপক। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ডাবলস ব়্যাঙ্কিংয়ে ১১৩ নম্বরে ছিলেন রাধিকা। সম্প্রতি চোট খেয়ে খেলা বন্ধ রেখেছিলেন। বাড়িতে চলছিল ফিজিওথেরাপি।

tennis Radhika Yadav