Advertisment

যুবভারতীতে স্বপ্নভঙ্গ! মহামেডানকে হারিয়ে আইলিগে ইতিহাস গোকুলামের

আইলিগের 'ফাইনাল'। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল গত কয়েকদিন ধরেই।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

মহামেডান এসসি: ১ (মার্কাস জোসেফ)
গোকুলাম কেরালা: ২ (রিশাদ, এমিল বেনি)

Advertisment

ইতিহাস গড়া আর হল। আইলিগও ফেরত এল না কলকাতায়। মোহনবাগানের পরে কলকাতায় আইলিগের সম্ভাব্য আগমন ঘিরে শহরে আইপিএলের ভরা বাজারেও চড়চড় করে বাড়ছিল ক্রেজ।

তবে তা আর শেষমেশ হল না। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালার কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরে ঐতিহাসিক আইলিগ জেতার স্বপ্নপূরণ হল না। প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করেও সমতা ফিরিয়ে এনেছিল সাদা-কালো বাহিনী। রিশাদের গোলের পাল্টা এসেছিল মার্কাস জোসেফের পা থেকে। তবে এমিল বেনির গোল সমস্ত উৎসাহে জল ঢেলে দিল। বরং যুবভারতী ইতিহাস দেখল প্ৰথমবার কোনও দলের পরপর দু-বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালাই এবারের চ্যাম্পিয়ন।

আরও পড়ুন: ভরা যুবভারতী সমস্যা হতে পারে বাগানের! AFC যুদ্ধের আগেই হুঁশিয়ারি আলেহান্দ্রোর ‘বাংলাদেশি’ বন্ধুর

সমীকরণ অনুযায়ী, ট্রফি জয়ের জন্য মহামেডানকে জিততেই হত। অন্যদিকে, এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবাদে খেতাব জয়ের জন্য স্রেফ ড্র করলেই চলত মালাবারিয়ান্সদের। ম্যাচের ৬১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরে তাই অনেকটাই চাপমুক্ত হতে যায় গোকুলাম।

ভরা যুবভারতী। প্রতিপক্ষ দর্শকদের সামনেই গোকুলাম শুরু থেকে মহামেডানকে প্রেসিং ফুটবলে নাস্তানাবুদ করছিল। একটা সময় গোকুলামের আক্রমণ সামলানোর জন্য পাঁচ জন মিলেও ডিফেন্স করতে দেখা যায় আন্দ্রে চেরনিশভের দলকে।

মালাবারিয়ান্সদের প্রেসিং ফুটবলেট সামনে উইং দিয়ে আক্রমণ শানাতে চাইছিল মহামেডান। বিরতির ঠিক আগে মার্কাস এবং স্টোভানোভিচ মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে সাদা-কালোদের প্রাধান্য ছিনিয়ে নিচ্ছিল। বিরতিতে গোকুলামের ফ্লেচার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোকুলামকে এগিয়ে দেন রিশাদ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মহামেডানকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে গোলে অবদান রেখে যান মার্কাস জোসেফ। তাঁর ফ্রিকিক আজাহারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।

তবে সমতা ফেরানোর আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মহামেডান। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এমিল বেনি ২-১ করে দেন গোকুলামের হয়ে। ফাইনাল থার্ডে সোলো রান নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন তিনি। জথান সুবিধা করতে পারেননি।

এরপরে বাকি সময়ে দুই দল একাধিক সুযোগ পেলেও ম্যাচের স্কোরলাইন বদলায়নি।

Kolkata Football Indian Football AIFF
Advertisment