দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা হার্শেল গিবস কোচিং করাতে ব্যস্ত বাংলাদেশে। বিপিএলে সিলেট থান্ডার্সের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সেখানেই এবার অভিনব সমস্যায় আক্রান্ত তিনি। স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ইংরেজিতে সড়গড় নয়। এতেই গিবসের পক্ষে কোচিং করানো সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর নির্দেশ ক্রিকেটাররা ভাষাগত সমস্যার কারণে ঠিকমতো পালন করছেন না।
বিপিএলের লিগ তালিকায় সিলেট থান্ডার্স তলানিতে রয়েছে। ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে তারা। সিলেটের স্কোয়াডে ১২ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫জন জাতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলেছেন। গিবস জানিয়েছেন, ইংরেজিতে যোগাযোগ রক্ষার বাদেও খেলার টেকনিকাল বিষয়টি বুঝতে হবে।
গিবস বাংলাদেশের প্রথমসারির প্রচারমাধ্যম বিডিক্রিকটাইমে বলেছেন, "বিপিএলের মান বেশ উন্নত। ভালমানের বিদেশি ক্রিকেটাররাও খেলছে, বিদেশের কোচ এসেছে। তবে আপনাকে সেটা সামনে টেনে নেওয়ার কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে আমার কথাই বলি, দলের অনেকেই ইংরেজি বোঝে না। আমি তাদের যেটা বলি সেটা তারা নিতে পারছেনা, প্রয়োগও হচ্ছে না। এটা হতাশার, তাদের মাঠের পরিস্থিতি বুঝে খেলার সক্ষম হতে হবে।"
সমস্যায় পড়েছেন হার্শেল গিবস (ফেসবুক)
পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, "ক্রিকেট টেম্পারমেন্টের খেলা, আমার মনে হয় এ জায়গায় আমি তাদের বোঝাতে ব্যর্থ। আমার কথা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে ওদের। অন্যভাবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমি উদাহরণ হিসেবে রুবেলের (মিয়া) কথা বলি, সে ১৪ রান করেছে প্রথম ২৮ বলে। স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের সময় আমি মাঠে যাই এবং তাকে বলি হচ্ছেটা কী? ২৮ বলে ১৪ রান! সে শুনে কেবল ওপর-নিচে মাথা নাড়ল। এটা দুঃখজনক সে নিজে বুঝতে পারছেনা কি করছে!"
গিবসের মতোই বাংলাদেশে কোচিং করাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটারের স্বদেশীয় নীল ম্যাকেঞ্জি। তিনি আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ। প্রাক্তন সতীর্থ বাংলাদেশে কীভাবে কোচিং করান, তাতেও বিস্ময় প্রকাশ করে গিবস সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমি ঠিক নিশ্চিত নই, ম্যাকেঞ্জি যখন কথা বলে, ওরা কতজন ঠিকভাবে বুঝতে পারে। আমি তো ওঁর মতোই দক্ষিণ আফ্রিকান, আমি ঠিক জানি না, সে যা বলতে চায়, তার সবটুকু ওদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারে কি না। আমি জানি সে দারুণ ব্যাটিং কোচ। ওর কথামতো কাজ করলে ছেলেরা অনেক শিখতে পারবে। কিন্তু আমি জানি না, ওর কথা ছেলেরা কতটা ধরতে পারছে।"