Hockey: Bihar’s Rajgir to Host 2025 Asia Cup: রাজগীর হকি স্টেডিয়ামে ২০২৫ এশিয়া কাপ হতে চলেছে। ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে আটটি দেশের দল। হকি ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই বিহার স্টেট স্পোর্টস অথরিটিকে ১২তম পুরুষদের এশিয়া কাপের আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুযায়ী চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি।
এই প্রতিযোগিতায় আয়োজক দেশ ভারত-সহ ছয়টি দল— পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীন সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। বাকি দুই দল এএইচএফ কাপ (AHF Cup) প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেবে। এই টুর্নামেন্টটি ২০২৬ হকি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে আয়োজিত হবে। ২০২৬ হকি বিশ্বকাপ হতে চলেছে নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামে। রাজগীরের টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া এখনও পর্যন্ত ৫ বার (১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৯, ২০১৩, ২০২২) এশিয়া কাপ জিতেছে। যা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ভারত (২০০৩, ২০০৭, ২০১৭) এবং পাকিস্তান (১৯৮২, ১৯৮৫, ১৯৮৯) তিনবার করে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। রাজগীর হকি স্টেডিয়াম এর আগে ২০২৪ মহিলা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করেছিল। সেখানে ভারতীয় মহিলা দল চিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
রাজগীরের এই হকি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে একটি বৃহত্তর আধুনিক স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি হয়েছে। বলতে গেলে এই স্টেডিয়াম সেই স্পোর্টস ইউনিভার্সিটিরই অংশ। এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে ২৫টি বিভিন্ন খেলাধুলার সুবিধা এখানেই মিলবে। যার মধ্যে রয়েছে হকি, ফুটবল, কাবাডি, ভলিবল, সাঁতার এবং কুস্তি। মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU) স্বাক্ষরের পর, বিহার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি. রাজেন্দ্র এই প্রসঙ্গে বলেন, 'হকি ইন্ডিয়া এবং বিহার স্টেট স্পোর্টস অথরিটির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বিহারকে একটি প্রধান ক্রীড়া গন্তব্যে রূপান্তরিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই আধুনিক স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- রহমানউল্লাহ গুরবাজের জন্য কলকাতার বিরিয়ানিতে আফগান স্বাদ! ঈদকে কীভাবে স্পেশাল বানালেন KKR-এর সেলিব্রিটি শেফ?
অতীতে জাতীয় হকিতে বিহারের বিশেষ অবদান রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে বিহার সরকার হকি-সহ অন্যান্য খেলাধূলায় তাদের অগ্রগতি ঘটাতে তৎপর। এই স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয় বিহার সরকারের এই লক্ষ্যপূরণে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলেই রাজ্য় প্রশাসনের বিশ্বাস।