আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব মাত্র কয়েকদিন আগে। ঝুলিতে মাত্র তিনটে টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। এর মধ্যেই নজর কেড়ে নিয়েছেন দীপক চাহার। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট, সেই অনুযায়ী বোলিং করা- দীপকের গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। চাহার তাই ম্যাচের পরেই বলে দিচ্ছেন, "যখন ফিল্ডিং করি, নিজের বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের প্ল্যানিং নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। ভাবতে থাকি, বোলিং এন্ডে গিয়ে কীভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাটসম্যানকে বল করব। সবসময়েই এই পরিকল্পনা নিতে ভাবতে থাকি।"
চাহার যে নিজের পরিকল্পনায় একশোভাগ সফল, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মোহালিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি চলাকালীন। ব্যাটে কোহলি-ধাওয়ানের সঙ্গে বোলিংয়ে ফের একবার নজর কাড়লেন দীপক চাহার। তাঁর শিকার দুই প্রোটিয়াজ ব্যাটসম্যান।
চাহার ম্যাচের পরে জানান, "দল আমার থেকে ঠিক কী চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করি। এদিনও তেমন হল। এই সিরিজে খেলতে নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা-এ দলের বিপক্ষে খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা পরিকল্পনা তৈরি করতে কাজে লাগছে। নিজের ইয়র্কার নিয়ে অনেক খেটেছি। স্লো বলের বিভিন্ন ভেরিয়েশন রপ্ত করার চেষ্টা করছি।" সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "যখন বাভুমা ব্যাট করছিল, জানতাম কোন লাইনে ওঁকে বোলিং করতে হবে। শর্ট বোলিং বাভুমা বরাবর ভাল। তাই আমার ফোকাস ছিল পেসের হেরফের ঘটিয়ে ওকে ফরোয়ার্ডে খেলানো বাধ্য করা। এটা দলের কাজে লেগেছে, ভাবতেই ভাল লাগছে।"
আরও পড়ুন Ind vs SA: ক্যাপ্টেন কোহলির ব্যাটে ভারতের সহজ জয়, অলরাউন্ড খেলায় বাজিমাত
বুমরা নেই। তাই ডেথ ওভারে কোহলির ভরসা ছিল তাঁর উপরে। সেই আস্থার মর্যাদা দিয়েই যেন চাহার ১৮ ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করেছিলেন। যেসময় আবার ক্রিজে ছিলেন টিকে যাওয়া বাভুমা। নতুন বলের স্পেশ্যালিস্ট এই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলছিলেন, "পাওয়ার প্লে কিংবা মিডল ওভারে বোলিং করার তুলনায় ডেথ ওভারে বোলিং করা তুলনামূলকভাবে সহজ। এটাই আমার মতামত। তবে পাওয়ার প্লে-তে যখন বৃত্তের বাইরে মাত্র দু-জন ফিল্ডার থাকে, সেই অনুযায়ী প্ল্যানিং কষি।"
আরও পড়ুন ভিডিও: রাগী কোহলি স্ট্যাম্প ভাঙলেন ম্যাচের মাঝেই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বে চাহারের নতুন পরিচিতি, "আনপ্রেডিক্টবল"। এমন বিশেষণ তাঁর জার্সিতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। চাহারও জানিয়ে দেন, "বল সুইং করাই কিংবা পেসের হেরফের ঘটাই, ব্যাটসম্যানকে আঁচ করতে হয় আমার বল খেলতে। পুণে সুপার জায়ান্টসে যখন খেলতাম, তখন সুইংয়ের উপরে জোর দিতাম, যেহেতু কণ্ডিশন সুইংয়ের পক্ষে সহায়ক। কিন্তু যখন বল সুইং করবে না, তখন আমাকে বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের দিকে নজর দিতেই হবে। এদিনও প্রথম ওভারে বল সুইং করছিল। তারপরে সুইং হচ্ছিল না। তাই আমাকে বৈচিত্র্যের উপরে ভরসা করতে হল। এই বছরে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে এসেছে।"
Read the full article in ENGLISH