রাত পোহালেই মহারণ। রবিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ২০১৮-১৯ মরসুমের প্রথম আই-লিগ ডার্বি। শেষবার দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ফুটবল লিগে। সেবার ম্যাচ ২-২ ড্র হয়ে যায়। এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় ন পয়েন্ট নিয়ে ছ’নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান রয়েছে আট নম্বরে। ইস্ট-মোহনের মাঝে শুধু গোকুলাম এফসি।
ডার্বির আগেই দু’দলে বড় ধাক্কা। চোটের জন্য বাগান শিবিরে পাচ্ছে না দলের সুপারস্টার সনি নর্ডেকে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের মেক্সিকান স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদা পাঁজরে চোট পেয়ে ফিরে গিয়েছেন নিজের দেশে। আগামী বছরের শুরুতে রিহ্য়াব সেরে ফের লাল-হলুদে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ম্যাচের আগে লাল-হলুদ কোচ আলেসান্দ্রো গার্সিয়া এনরিকের চোটের প্রসঙ্গে বলছেন, “এনরিকে একজন স্কোরার। ও না-খেলাটা সমস্যার। কিন্তু আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে।”
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা! সনি নর্ডেকে ছাড়াই ডার্বিতে নামছে মোহনবাগান
দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। বলেছেন গত ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা। কোলাডোকে প্রথম একাদশে রাখবেন বলেই ইঙ্গিত তাঁর। ডার্বির গুরুত্ব জানেন গার্সিয়া। বলছেন, “স্প্যানিশ ডার্বির মতোই গুরুত্বপূর্ণ এই ডার্বি। খেলোয়াড় থেকে সমর্থক সকলেই জিততে চায় ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকতে গেলে জিততে হবে আমাদের। তবে কাজটা সহজ নয়। মোহনবাগানের কোচও খুব ভাল। উনি ফুটবলটা জানেন। আর মোহনবাগানের অ্যাটাকিং হাফ মারাত্ম শক্তিশালী। সেটা আমরা জানি।” লাল-হলুদের মিডফিল্ডার কাসিম আইদারা সনি নর্ডের অনুপস্থিতি নিয়ে ভাবছেন না। বললেন, “সনি না-খেললেও দলে এগারো জন রয়েছে। সবাই সুযোগ পায়। আমিও কঠিন পরিশ্রম আর প্র্যাকটিস করেই এই জায়গায় এসেছি।”
ডার্বি মানে কিন্তু স্নায়ুর লড়াই। ইতিহাস জানে এই ম্যাচে যে কোনও খেলোয়াড় ফারাক গড়ে দিতে পারে। ম্যাচের দিন অনামী কেউ হয়ে যেতে পারেন স্টার। আর স্টাররা হয়ে যান ফিকে।