শনিবারেই আইলিগের ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে আইজলের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি মোহনবাগান ও আইজল। দশম সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন আইজল নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবে 'নতুন' মোহনবাগানের। মোহনবাগানে এবার নতুনের আবাহন। খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে দলের সাপোর্ট স্টাফ থেকে ফুটবলার। স্প্যানিয়ার্ড কিবু ভিকুনাকে কোচ করে আনা হয়েছে। তাঁর সাপোর্ট স্টাফেও নতুন মুখ।
কলকাতা লিগে কিবুর দল সাফল্য আনতে পারেনি। তবে আইলিগে মনে রাখার মতো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর সবুজ-মেরুন বাহিনী। পাঁচ মাস কিবুর অধীনে প্রস্তুতি সারার পরে আইলিগের পরীক্ষায় খেলতে নামার আগে কিবু সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিলেন, "পাঁচ মাস ধরে অনুশীলন সেরেছি আমরা। প্রথম ম্যাচের আগে দল একশো শতাংশ তৈরি। আইজলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রদ্ধা করি একটাই কারণে ওরা দারুণ দল। তবে আইজলকে হারিয়ে কলকাতায় তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"
আইজলেও নতুনের ছোঁয়া। গত মরশুমে আইজল সপ্তম স্থানে ফিনিশ করেছিল। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য বিদেশি কোচ নয়। দেশি কোচ হিসেবে স্ট্যানলি রোজারিওর উপরে আস্থা রেখেছে পাহাড়ি ক্লাবটি। ভারতীয় ফুটবলে পোড়খাওয়া কোচ আইজলের প্রথম ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, "মিজোরামের তরুণ ফুটবলারদের কাছে মোহনবাগানের মতো বড় ক্লাবের বিপক্ষে খেলাটাই অনেক। তবে ম্যাচ আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। মোহনবাগান যেখানে ৬জন বিদেশি নিয়ে খেলবে, সেখানে আমাদের স্কোয়াডে বিদেশির সংখ্যা মাত্র ২জন।"
তবে অসম যুদ্ধেও জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া স্ট্যানলি রোজারিওর আইজল। সেকথা শুনিয়ে রাখছেন তিনি, "ছেলেদের বলেছি সদ্ব্যর্থক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে। নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে যদি প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করা যায় তাহলে যে কোনও ফলাফল হওয়া সম্ভব ফুটবলে। আইলিগের শুরুতেই আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলে ছেলেরা বহুদূর এগোনোর ক্ষমতা রাখে।"
আইজলের দুই বিদেশি লাইবেরিয়ান আলফ্রেড জারিয়ান এবং উগান্ডার রিচার্ড কাসাগ্গা রক্ষণের বড় ভরসা। মাঝমাঠে অবশ্য় তরুণ ফুটবলারদের ভিড়- ডেভিড, আইজাক, লালরেমসাঙ্গা, রোচারজেলা। মোহনবাগানে খেলা উইলিয়াম লালরেনফেলাও থাকছেন আইজলের স্কোয়াডে। আপফ্রন্টে দলের সবেধন নীলমনি আয়ূশ দেব এবং তেচি তাতরা।
মোহনবাগানের প্রথম একাদশ অনেকটাই আঁচ করা যায়। গোলে থাকছেন দেবজিৎ মজুমদার। অরিজিৎ বাগুই এবং কিমকিমাকে রেখেই রক্ষণ সাজাবেন কিবু। রক্ষণে দুই বিদেশি হিসেবে সম্ভবত থাকছেন ড্যানিয়েল সাইরাস ও ফ্রান্সিসকো মুনোজ। আক্রমণে ভরসা জোগাবেন ফ্রান মোরান্তে এবং জোসেবা বেইতিয়া। স্থানীয় তারকা হিসেবে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে পিএম ব্রিটো, শেখ ফৈয়াজ, নওরেমদের।
অচেনা প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে বেইতিয়ারা কেমন জ্বলে উঠতে পারেন, সেটাই আপাতত দেখার।