Advertisment

ভারতীয় হয়ে আইসিসিতে 'ভারত বিরোধী' কাজ, চাকরি খোয়ানোর মুখে সিইও মনু

মনু সহানি চেষ্টা করছিলেন ২০২৩-২০৩১ ক্রিকেট বর্ষের প্রতি বছর যেন একটি করে আইসিসি ইভেন্ট হয়। যা মনঃপুত হয়নি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

খামখেয়ালি এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ! আইসিসির সিইও মনু সহানির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল। তারপরেই আইসিসির তরফে ভারতীয় সিইওকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আইসিসির অভ্যন্তরীণ বিষয় তদন্ত করে দেখছে বিখ্যাত ব্রিটিশ ফার্ম প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স। তাদেরই তদন্তে বিস্তর অভিযোগে বিধ্ব হয়েছে সহানি। ২০২২-এ তার আইসিসির সিইও পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই পদত্যাগ করতে পারেন তিনি।

Advertisment

২০১৯ বিশ্বকাপের পর আইসিসির সিইও পদে ডেভ রিচার্ডসনের জায়গায় আসেন সহানি। তবে জানা গিয়ে তাঁর আচরণ নিয়ে আইসিসিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। বেশ কিছু দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আইসিসি-র সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় পিছনে নাকি সহানির উদ্ধত আচরণ। শুধু তাই নয়, সংস্থায় নিজের কর্মীদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ ওঠে।

আরো পড়ুন: ভয়ঙ্কর সমস্যায় কেকেআরের বরুণ! জাতীয় দল থেকে পুরোপুরি বাদ পড়ার মুখে তারকা

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে আইসিসির এক বোর্ড সদস্য জানান, "ওঁর ব্যবহার নিয়ে আইসিসির একাধিক কর্মী অভিযোগ জানিয়েছেন।" ৫৬ বছরের এই প্রশাসক বেশ কিছুদিন অফিসেও আসছিলেন না। অভিযোগ ওঠার পরেই নড়েচড়ে বসে শীর্ষমহল। সঙ্গেসঙ্গেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মনু সহানিকে।

গত বছর আইসিসি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন শুরুর সময় থেকেই চাপে ছিলেন তিনি। গত বছর নভেম্বরে আইসিসির চেয়ারম্যান হন নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে।

অভিযোগ ওঠে রিচার্ডসনের নেতৃত্বে যেমন স্বাধীন খোলামেলাভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন কর্মীরা, মনু সহানি সেই কাজের ধারাটাই বদলে দেন। কার্যত ডিক্টেটরশিপ চালাচ্ছিলেন সংস্থার অন্দরে। এছাড়াও যেভাবে নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ইমরান খোয়াজাকে তিনি ব্যাক করছিলেন, সেটাও ভালোভাবে নেয়নি বেশ কিছু প্রভাবশালী দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

এরপরে আইসিসির সাম্প্রতিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মনু সহানির ওপর চটে যায় ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মত বিগ থ্রি-র ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি আইসিসি আলোচনা চালাচ্ছে পরবর্তী টার্মে যাতে বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজক দেশ আইসিসি-কে হোস্ট-ফি দেয়। এই সিদ্ধান্তে মারাত্মক চটে যায় ইসিবি, বিসিসিআই এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

আরো পড়ুন: সিরাজ-ইশান্তকে তুলোধোনা সুন্দরের বাবার! ছেলের সেঞ্চুরি না হওয়ায় ক্ষোভে বিস্ফোরণ

এছাড়াও, মনু সহানি চেষ্টা করছিলেন ২০২৩-২০৩১ ক্রিকেট বর্ষের প্রতি বছর যেন একটি করে আইসিসি ইভেন্ট হয়। যা মনঃপুত হয়নি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের।

বিগ থ্রি-কে চটিয়েই আপাতত চাকরি হারানোর মুখে মনু সহানি। যদি ক্রিকেট এই প্রশাসক পদত্যাগ না করেন, তা আইসিসির সঙ্গে বিগ থ্রি- বোর্ডের সম্পর্ক যে আরো অবনতি ঘটবে, তা বলাই বাহুল্য।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Cricket Australia ICC BCCI
Advertisment