টার্গেট ছিল মাত্র ১০৬। সেই রান ১৩.৪ ওভারেই তুলে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিংয়ে রাসেল, কটরেল, থমাসদের পরে ব্য়াট হাতে পাকিস্তানকে ধ্বংস করলেন ক্রিস গেইল। ইউনিভার্সাল বস শুরুর দিনেই চকমকি ইনিংস খেলে গেলেন ট্রেন্টব্রিজে। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করল পাকিস্তান। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ের সামনে পড়ে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ রান মাত্র ২২। ফকর জামান ও বাবর আজমের অবদান ২২! বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন আর মাত্র দু-জন। তৃতীয় ওভারে ইমাম উল হকের (২) উইকেট দিয়ে শুরু। তারপর আয়ারাম আর গয়ারাম! ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কোনও পাক ব্যাটসম্যানই। হ্যারিস সোহেল, ফখর জামান, বাবর আজম, অধিনায়ক সরফরাজ কিংবা মহম্মদ হাফিজ- কেউই ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। শেষদিকে, ওয়াহাব রিয়াজের ১১ বলে মরিয়া ১৮ না থাকলে একশো-ও পেরোতো না পাকিস্তান।
সামান্য টার্গেট তাড়া করতে নেমে কার্যত কোনও বেগ পেতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সাই হোপ ও ডোয়েন ব্র্যাভো তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও ওপেন করতে নেমে ৩৪ বলে ৫০ রানের টি টোয়েন্টি মেজাজে হাফসেঞ্চুরি করে যান গেইল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে নজর কেড়েছিলেন নিকোলাস পুরান। শেষ দিকে, তিনি ঝড় তুলে ১৯ বলে ৩৪ করে তাড়াতাড়ি ম্যাচে ফুলস্টপ ফেলে দেন।