আইপিএলে ব্যাট হাতে মাতিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বকাপে এবার শুরু রাসেল-ধামাকা। তবে ব্যাট নয়, বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন দ্রে রাস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের ৩ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। রাসেলের পাশাপাশি কটরেল (১৮-১), ওশানে থমাস (২৭-৪) এবং জেসন হোল্ডাররা (৪২-৩) বিধ্বংসী বোলিংয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেন।
ক্যারিবিয়ানদের বোলিং বিক্রমে পাকিস্তান ব্যাটিং খতম শুরুতেই। মাত্র ১০৫ রানে অলরাউট পাক ব্যাটিং লাইন আপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য টার্গেট মাত্র ১০৬ রান। বিশ্বকাপে ফেভারিটের তকমা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। তবে শুরুর ম্যাচেই বেনজির ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান প্রমাণ করে দিল, তারা আগের মতোই আনপ্রেডিক্টেবল!
ম্যাচ শুরুর আগে ট্যাগ লাইন ছিল আনপ্রেডিক্টেবল বনাম ডার্ক হর্স! সেই ম্যাচেই শোচনীয় পারফরম্যান্স সরফরাজদের। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ফকর জামান ও বাবর আজমের। দুজনেই ২২ রান করেছেন। দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন মাত্র চারজন। এতেই প্রকট পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের দুরবস্তা।
তৃতীয় ওভারে ইমাম উল হকের (২) উইকেট দিয়ে শুরু। তারপর আয়ারাম আর গয়ারাম! ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কোনও পাক ব্যাটসম্যানই। হ্যারিস সোহেল, ফখর জামান, বাবর আজম, অধিনায়ক সরফরাজ কিংবা মহম্মদ হাফিজ- কেউই ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। শেষদিকে, ওয়াহাব রিয়াজের ১১ বলে মরিয়া ১৮ না থাকলে একশো-ও পেরোতো না পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে টুর্নামেন্টে তাঁরা যে সত্যিই কালো ঘোড়া, তা প্রথম ম্যাচের পরেই লিখতে হচ্ছে।