Advertisment

ধোনি-ভক্ত হলেই ফ্রি-তে মাছ-ভাত, বিশ্বকাপে শিরোনামে বাংলার এই হোটেল

ICC Cricket World Cup 2019: আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা শম্ভু বোসের হোটেলের নাম-ই ধোনি-হোটেল। তিনি নিজে যে ধোনির অন্ধ ভক্ত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ms dhoni hotel_759

ধোনি হোটেলে ফ্রি-তে খাবার (সংবাদসংস্থার টুইটার)

মহেন্দ্র সিং ধোনি-র প্রবল ভক্ত। ব্যাট হাতে মহাতারকা ক্রিজে নামলেই আপনার চোখ আটকে যায় টিভির পর্দায়? পাশাপাশি আপনি কী খাদ্যরসিকও! তাহলে আপনার গন্তব্য হওয়া উচিত আলিপুরদুয়ারে। কারণ সেখানে গেলেই আপনার বিনামূল্যে খাবার মিলতে পারে। আপনার ধোনি-ভক্ত পরিচয়ই আপনার 'প্রণামী'। মনে হতে পারে গল্পকথা। তবে বাস্তবেই এমনটা সম্ভব। আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন হোটেল। যেখানে ফ্রি-তে খাওয়ার পাসওয়ার্ড হতে পারে আপনার ধোনি-প্রেম।

Advertisment

আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা শম্ভু বোসের হোটেলের নাম-ই ধোনি-হোটেল। তিনি নিজে যে ধোনির অন্ধ ভক্ত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজের ধোনি-প্রীতির জন্যেই ধোনি-ভক্তদের জন্য তাঁর অভিনব উদ্যোগ। ফ্রি-তে খাবার দেন তিনি। নিজের হোটেলেই। সংবাদসংস্থার এক খবরে জানানো হচ্ছে, ধোনি নিজে অবাঙালি হলেও, ধোনি-হোটেল একদম বাঙালিয়ানায় ভরপুর। ছোট আকারের খাবারের হোটেল বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হোটেল জুড়ে লাগানো ধোনির বিভিন্ন ক্রিকেটীয় মুহূর্তের ছবি।

গ্লাভস নয়, এবার স্ত্রী সাক্ষী-র জন্য চরম শাস্তির মুখে ধোনি

সংবাদসংস্থাকে ধোনি-হোটেলের মালিক শম্ভুবাবু বলছিলেন, "আসন্ন দুর্গাপুজোয় এই হোটেলের দুই বছরের পূর্তি হবে। এখানের খাবারের মান যথেষ্ট ভাল। তাই অনেকেই এখানে খেতে আসেন। স্থানীয় যে কোনও কাউকে এই হোটেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন, প্রত্যেকেই বলবে, এখানকার খাবার কোনওভাবেই মিস করা যাবে না।"

কেন ধোনিকে নিয়ে এমন অদ্ভূত পরিকল্পনা! তিনি বলছিলেন, "ধোনির খেলা দেখে অনেক কিছু শিখেছি। অনেক ইচ্ছা, ধোনির খেলা সামনে থেকে দেখব। তবে, ক্রিকেট খেলা দেখার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই।" মনে প্রাণে শম্ভুবাবুর একটাই ইচ্ছে, "জানি হয়তো কোনওদিনই আমার স্বপ্ন পূর্ণ হবে না। তবে ধোনির সঙ্গে কোনওদিন দেখা হলে, আমার একটাই অনুরোধ থাকবে, আমার হোটেলে যেন ও খায়। আমি জানি, ধোনি মাছ-ভাত খেতে পছন্দ করে।"

কীভাবে এই পেশায় এলেন তিনি, সেকথা স্মরণ করতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, "এখানে আমার একটা চায়ের দোকান ছিল। দোকানের কোনও নাম না থাকলেও, ধোনির বেশ কিছু পোস্টার লাগানো থাকত। ওর লম্বা চুল আমার বরাবরের পছন্দ। ২০১১ সালের কথা মনে আছে। বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে চায়ের দোকানের সামনে খেলা দেখেছিলাম। ওই রাত কোনওদিনও ভুলতে পারব না। আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম।"

অতীতে ধোনি নিজের ভক্তদের খুশি করেছেন আগে বহুবার। এবারেও বাঙালি ভক্তের জন্য পাড়ি দেবেন তিনি আলিপুরদুয়ার?

Advertisment