মঙ্গলবার পর্যন্ত 'কার্যত' সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোহলিরা। 'কার্যত' শব্দটাকে ছুঁড়ে ফেলতে প্রয়োজন ছিল মাত্র একটা জয়। ইংল্যান্ডের কাছে হারের পরে সমালোচনায় দগ্ধ হতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে সরকারিভাবে শেষ চারে পা রাখল ভারত। রোহিত শর্মার জীবন পেয়ে ১০৪, লোকেশ রাহুলের ওপেনিংয়ে যোগ্য সঙ্গত ৭৭! মিডল অর্ডারে ভরাডুবির মাঝে ঋষভ পন্থ ও ধোনির যথাক্রমে ৪৮ ও ৩৫ রানের সৌজন্যে স্কোরবোর্ডে ৩১৪ রান তুলেছিল ভারত। সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রবল লড়াই উপহার দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস খতম ২৮৬ রানে! ভারতের জয় ২৮ রানে। সংক্ষেপে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচের নির্যাস এটুকুই।
তবে দুই এশীয় পড়শির লড়াইয়ে দেখা গেল রং বেরং-এর একাধিক মুহূর্ত। তেমনই এক মুহূর্ত শাকিব-পাণ্ডিয়া দ্বৈরথ। বরাবরের মতো ভারতকে হারানোর গুরুদায়িত্ব নিয়ে বাইশ গজে একা লড়াই চালাচ্ছিলেন শাকিব আল হাসান। একা কুম্ভ হয়ে গোটা টুর্নামেন্টেই খেলছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সফলভাবে তাড়া করারও কারিগর তিনি। সেই হিসেবেই শাকিব ব্যাট হাতে ভারতকে হৃৎকম্প উপহার দিচ্ছিলেন এজবাস্টনে।
আরও পড়ুন শাকিবদের অপমান করতে বিজ্ঞাপনে রবীন্দ্রনাথকেই কটূক্তি! ডাবরের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বাংলা
একপ্রান্তে যখন বাংলাদেশের নিয়মিত উইকেট পতন অব্য়াহত। তখন অন্যপ্রান্তে গড় সামলাচ্ছিলেন শাকিব। হাফসেঞ্চুরি করে ফের একবার রূদ্ধশ্বাস ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছে তাঁর ব্য়াট। যদিও তার আগেই আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন দলের অন্য এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। পিচে অসমান বাউন্স। এমন অবস্থায় হার্দিক পাণ্ডিয়ার কাছে শেষমেষ নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন তিনি। ৩৪তম ওভারে হার্দিক বোলিং করছিলেন। সেই ওভারেই শাকিব-বিদায়। অফ সাইডের বাইরে হার্দিকের স্লোয়ারের ঠকে গিয়ে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান তিনি। ৭৪ বলে তাঁর অবদান ৬৬।
ঘটনা এরপরেই। হার্দিক বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করার পরেই ফ্লাইং কিস ছোঁড়েন। প্রথমে দীনেশ কার্তিকের দিকে এবং তারপরে শাকিবের দিকে তাকিয়ে কিসিং-উদযাপন সারেন তারকা অলরাউন্ডার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার পরেই আইসিসি-র টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়। এই ক্লিপিংস-ই ম্যাচের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
হার্দিক বরাবরই রামধনু চরিত্র আমদানি করেন বাইশ গজে। তবে শাকিবকে এমন 'বিদায়ী-অভ্যর্থনা' অনেক বাংলাদেশি সমর্থকই মেনে নিতে পারছেন না। হার্দিকের কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা।