জসপ্রীত বুমরা! নাম তো শুনা হি হোগা। এমনটাই হয়তো বলছেন তারকা পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শিকার করে ফেললেন হাসিম আমলাকে। আর তাতেই যেন নড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৮ রানে ধুঁকছে প্রোটিয়াজরা। আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রাথমিক ধাক্কা দেওয়ার কাজে একদমই সফল তারকা পেসার। আমলা ছাড়াও অন্য ওপেনার ডিকককেও ফেরত পাঠিয়েছেন বুমরা।
শুরু থেকেই আগুন ঝড়াচ্ছিলেন তারকা পেসার। লেট সুইং বুঝতে সমস্যায় পড়ছিলেন দুই প্রোটিয়াজ ওপেনার। আর নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারেই বুমরা ফিরিয়ে দেন পরপর আমলা ও ডিকককে। একস্ট্রা বাউন্সার আর ইনসুইঙ্গার বুঝতে না পেরে প্রথমে ক্যাচ তুলে বিদায় নিয়েছিলেন আমলা। আর ডিকক ফুলার লেন্থের বল তৃতীয় স্লিপে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।
আর আমলাকে আউট করার সঙ্গেই বিরল পরিসংখ্যান হাজির হল তাঁর জন্য। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে বুমরার ওয়ান ডে-তে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে আমলাকে তাঁর থেকে বেশিবার কেউ আউট করতে পারেননি। তিনবার আমলাকে আউট করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার আকিলা ধনঞ্জয়ও আমলাকে ঠিক তিনবারই আউট করেছেন। অর্থাৎ শেষ তিন বছরে দেশ-বিদেশের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য আমলা বুমরার সামনেই ধরা পড়ে গিয়েছেন। সেই অর্থে আমলাকে বুমরার বানি বলা যেতেই পারে।
একসময় দক্ষিণ আফ্রিকারই গ্রেম স্মিথ বানি ছিলেন জাহির খানের। কিংবা পাকিস্তানের মহম্মদ ইউসুফকে বহুবার আউট করেছেন ইরফান পাঠান। ক্রিকেটের বিস্তৃত পরিসংখ্যানে এমন নজির অজস্র রয়েছে। তবে আধুনিক ক্রিকেটে সাধারণত, বানি হওয়ার ঘটনা বিরল। আমলা-বুমরার দ্বৈরথ সেই ঘটনাই ফিরিয়ে আনছে।