মোদীর জন্যই ভারতের অপরাজেয় তকমা ঘুচে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩১ রানের হারের পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মুণ্ডুপাত করছেন সমর্থকরা। সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যেভাবে জয়ের জন্য ভারত ঝাঁপাল না তাতে উঠে এসেছে অন্তর্ঘাতের তথ্যও। আপাতত ভিলেন বাছা হচ্ছে কেদার যাদব ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি সমর্থকরাও ভারতীয় ক্রিকেটারদের জেতার ইচ্ছে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে, মাত্র একটা হারেই গিলোটিনো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।
তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে এবার রাজনীতিরও অনুপ্রবেশ ঘটে গেল ভারতের হারে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সাফ জানালেন গেরুয়া জার্সি পড়ে মাঠে নামাতেই হার হজম করতে হল কোহলিদের। অ্যাওয়ে কিট হিসেবে ভারতের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমলা জার্সিতে খেলতে নামবে ভারত। নীল জার্সিতে ভারত এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে জার্সি-ই নাকি আসল ভিলেন কোহলিদের। এমনটাই মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন বিশ্বকাপের মাঝেই খবর, চাহাল বিয়ে করছেন! চিনে নিন পাত্রীকে
টিম ইন্ডিয়ার অ্যাওয়ে জার্সিতে কমলা রং বাছা নিয়ে আগেই একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি জানিয়ে দিয়েছিল, "মোদীর জন্যই ভারতের জার্সিতে কমলা প্রলেপ। সমাজবাদী পার্টি নেতা আবু আজমি সরাসরি মোদীকে সেই সময় দায়ী করে বলে দিয়েছিলেন, মোদী গোটা ভারতকে কমলা রংয়ে রাঙাতে চায়। যদি ভারতের জাতীয় দলের জার্সি বাছতেই হয়, তাহলে তেরঙা রং কেন নয়!" তাঁদের দাবি, মোদীর প্রভাবেই নাকি বিসিসিআই কমলা জার্সি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
সেই একই সুর শোনা গেল মেহবুবা মুফতির কণ্ঠে। তিনি সরাসরি মোদীর নাম না করেই টুইট করেছেন,"আর কেউ কুসংস্কার মানে কিনা জানা নেই। আমি অন্তত কুসংস্কার মেনে চলি। আমার মনে হয় জার্সি বদলানোটাই ভারতের টানা জয় আটকে দিল।" অর্থাৎ ভারতীয় ক্রিকেটারদের দক্ষতা নয়, জার্সির রংয়ের জন্যই হেরেছে ভারত। এমনটাই বলছেন তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা-ও বিতর্কিত টুইট করেছেন, "পাকিস্তান বা ইংল্যান্ডের জায়গায় যদি আজকের ম্যাচের উপর ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়া নির্ভর করত তাহলেও কী এমন দিশাহীন ব্যাটিং হত?" অর্থাৎ তিনি সরাসরি ভারতকে পড়শি দেশের আটকে রাখার মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী, ধর্ম, পড়শি দেশের রাজনীতি অনুপ্রবেশ ঘটে গেল ভারতের হারে। নেটিজেনরা যদিও এই মানসিকতার সমালোচনা করেছেন।