২৪ ঘণ্টা পরেই ভারত ম্যাচ। ব্লকবাস্টার মহারণ ঘিরে উত্তাপ সর্বত্র। তার আগেই পরিবার, স্ত্রী-সঙ্গ ইস্যুতে বিতর্ক পাকিস্তান শিবিরে। সরফরাজ খানের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে ভারত-বধের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপেই আবার পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা স্ত্রী ও পরিবারদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছে। এমন অবস্থাতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে তুলোধোনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ ইউসুফ। ভারত ম্যাচের আগে ক্ষিপ্ত তিনি পিসিবি-র নির্দেশিকায়।
নিজের খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে ইউসুফ জানিয়েছেন, "১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭- তিনটে বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলাম। কিন্তু আমাদের সময়ে বোর্ড কখনই টুর্নামেন্ট চলাকালীন পরিবার সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়নি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অনেক বড় বড় নাম ছিল। ইচ্ছা করলেই একই হোটেলে আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের থাকতে দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের উপরে চাপ প্রয়োগ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের ফোকাস কেবল ক্রিকেটেই থাকা উচিত।"
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের জার্সিতে তিনি তারকার সম্মান পান। জাতীয় দলের হয়ে ৯০টি টেস্ট ও ২৮৮টি ওয়ানডে খেলা ইউসুফ বলছেন, বিদেশ সফরে ওয়ানডে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চলাকালীন পুরো সময় ধরে মোটেই পরিবারকে পাশে পেতেন না তাঁরা। একমাত্র টেস্ট সিরিজ চলাকালীন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হত। কারণ, প্রতিটি টেস্টে এক-একটি শহরে কমপক্ষে ১০দিন থাকতে হয়। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই যুক্তিযুক্ত।
ভারত ম্যাচের আগেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিবার রাখতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কিছুতেই সমর্থন করতে পারছেন না ইউসুফ। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, "সেরকম হলে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ফ্যামিলি রাখার অনুমতি দিতে পারত। কিন্তু ভারত ম্যাচে কোনওভাবেই এমন অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি।" এমনিতে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে বর্তমানে মোটেই ভাল খেলতে পারছে না। প্রথম চারটে ম্যাচেই জোড়া হার হজম করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় খেলায় ফোকাস নড়ে গিয়ে ভারত ম্যাচে ফের বিপর্যয়ের সামনে পড়তে পারে পাক বাহিনী। এমনটা ভেবেই শঙ্কিত তিনি।
ভারত আবার উলটো পথে হেঁটেছে। বিশ্বকাপের প্রথম ২০ দিন যাতে কোনও ক্রিকেটারকেই তাঁদের স্ত্রী-দের সঙ্গে দেখা না যায়, তা নিয়ে রীতিমতো কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে গ্যালারিতে সাক্ষী ধোনিকে দেখতে পাওয়া যাওয়ায় একপ্রস্থ বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। যাইহোক, মহারণের আগে স্ত্রী-সঙ্গের নির্দেশিকা কোনও দলের পারফরম্যান্সে কেমন প্রভাব ফেলে, সেটাই দেখার।