অস্ট্রেলিয়া: ১৯৯/১০ (৪৯.৩)
ভারতের স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারল না অস্ট্রেলিয়া। চিপকের স্লো পিচে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে গেল অজিরা। ভারতের সামনে টার্গেট ২০০। জাদেজা ৩ এবং কুলদীপ ২ উইকেট নিয়ে অজিদের টপ অর্ডার ধ্বংস করে দেন। জসপ্রীত বুমরাও ২ উইকেট শিকার করেন। অশ্বিন, হার্দিক, সিরাজ বাকিরাও একটি করে উইকেট দখল করেন।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অজিরা সম্ভবত ভাবতেই পারেনি তাঁদের জন্য গোটা ইনিংস জুড়ে এমন দুর্ভোগ অপেক্ষা করে রয়েছে। চিপকের পিচে ভারত যে স্পিন ত্রয়ীকে লেলিয়ে দেবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে অজি শিবিরের গোলা-বারুদ শুরুতেই খতম। গোটা ইনিংস জুড়েই অজিদের স্পিনের জালে জড়িয়ে রাখলেন অশ্বিন-জাদেজা-কুলদীপরা।
হাত খুলে খেলার সুযোগ পেলেনই না ক্যাঙারুরা। তৃতীয় ওভারেই বুমরার আচমকা বাউন্স থামিয়ে দিয়েছিল মিচ মার্শকে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোহলি যে ক্যাচ নিলেন, তা টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। বুমরা-সিরাজের চমৎকার ওপেনিং স্পেলের পর অশ্বিন-কুলদীপের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। আর এর পর পুরোটাই আত্মসমর্পণের গল্প।
মার্শ আউট হওয়ার পর অজি শিবিরের হয়ে ওয়ার্নার এবং স্মিথ ৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। ক্রিজে থাকলেও দুজনের কেউই সাবলীল খেলা খেলতে পারছিলেন। অসহ্য স্পিনের নাগপাশ সহ্য না করতে পেরেই ওয়ার্নার কুলদীপের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি ততই থেমে থেমে থমকে গিয়েছে। স্মিথ এবং লাবুশানে দুজনেই চেষ্টা করছিলেন যথাসাধ্য। ৩৬ রানের পার্টনারশিপও গড়ে তুলেছিলেন দুজনে।
ম্যাচের সম্ভবত সেরা ডেলিভারিতে জাদেজা ফিরিয়ে দেন স্মিথকে। স্রেফ স্পিনে পরাস্ত করে স্মিথকে প্যাভিলিয়নে ফেরান জাদেজা। স্যার জাদেজা ৩০তম ওভারে লাবুশেন এবং আলেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে অজিদের সম্মানজনক স্কোর করার স্বপ্নেও জল ঢেলে দেন। ক্যামেরন গ্রিনকে আউট করে ম্যাচে নিজের প্ৰথম উইকেট তুলে নেন অশ্বিনও।
ভারত: রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরা