আইএফএ সচিব পদ থেকে হঠাৎ সরে দাঁড়ালেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। শনিবার বঙ্গ ফুটবল সংস্থার সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পদত্যাগের চিঠি পাঠিয়ে দেন।
কেন এই পদত্যাগ? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, "ব্যক্তিগত কারণেই সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম। এর সঙ্গে অন্য কোনো সমীকরণ খুঁজবেন না। আমার মনে হয়েছে ঠিকমত সময় দিতে পারছিলাম না। তাই পদত্যাগ করাই শ্রেয় বলে মনে হয়েছে।"
আরো পড়ুন: ক্যাচ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে জাদেজা-গিল! শেষ হাসি জাড্ডুরই, দেখুন ভিডিও
সফলভাবে আইএফএ শিল্ড আয়োজন করেছিলেন। আইলিগের দ্বিতীয় ডিভিশন বা কন্যাশ্রী কাপ- দারুণ দক্ষতায় আয়োজিত হয়েছে। সামনে থেকে কার্যত নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জয়দীপবাবু। তবে কেন এই পদত্যাগ!
সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালে কন্যাশ্রী কাপের ইস্টবেঙ্গলের অবৈধভাবে ভিন রাজ্যের ফুটবলার খেলানোর ঘটনা রয়েছে এর পিছনে। ইস্টবেঙ্গল কন্যাশ্রী কাপে পুলিশ এসির বিরুদ্ধে তিনজন আন্তঃরাজ্য ফুটবলার খেলায়। নিয়ম অনুযায়ী, দুজনের বেশি খেলানো যায় না। সেই ম্যাচে সেমিফাইনালে পুলিশ এসিকে টাই-ব্রেকারে হারিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে ওঠে। খেলা শেষ হওয়ামাত্রই প্রতিবাদ করে ওঠে পুলিশ এসি। ঘটনা হল, গত বছর মুম্বইয়ে খেলা মিনা খাতুন এবার মিনা বেগম নামে স্থানীয় ফুটবলার হিসাবে সই করেন ইস্টবেঙ্গলে।
তারপরেই এই ঘটনায় আইএফএ-তে জরুরিকালীন বৈঠকে বসেন কর্তারা। সেখানে সমস্ত কর্তারা ইস্টবেঙ্গলের অবৈধ ফুটবলার খেলানোর ঘটনা মেনে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, শাস্তি পাওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। তবে এক শীর্ষ কর্তা নাকি পাল্টা চাপ প্রয়োগ করেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের উপর। ম্যাচ বাতিলের পরিবর্তে যাতে শনিবার রিপ্লে খেলা সম্ভব হয়, তা নিয়েই চাপ দেওয়া হতে থাকে। সূত্রের খবর, এই অন্যায় আবদার মানতে পারেননি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সরাসরি ইস্তফা দিয়ে দেন। আর পুরো ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অভিযোগের তীর তাঁর দিকেই।
তারপরেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অনুরোধ করেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য। তবে জয়দীপ বাবু নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন।