পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান এখন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। সদ্য়ই মসনদে বসেছেন তিনি। বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী তিনি।‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পিসিবি-র সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান এহসান মনি।
নাজাম শেঠীর পদত্যাগের পর এহসান মনিকে পিসিবি-র মাথা করে নিয়ে এসেছেন ইমরান। এহসান বলছেন, “ উপমহাদেশের ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করে অতীতের জায়গায় ফিরিয়ে আনার ইচ্ছাই আমার।অবশ্যই এর মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একত্রে বসে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ঘটনাচক্রে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ভারত-পাক ম্যাচ ফেরাতে ভীষণ আগ্রহী।”
আরও পড়ুন: ১৯ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান, দেখে নিন এশিয়া কাপের সম্পূর্ণ সূচি
২০১২-১৩ সালের পর থেকে ভারত-পাক কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। তখন সীমিত ওভারে ছোট্ট সফরে পাকিস্তান এসেছিল ভারতে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভারত-পাক সিরিজের অনুমোদন মেলে না। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কও প্রায় তলানিতে। এমনকি আসন্ন এশিয়া কাপও ভারত থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন ইন্দো-পাক শুধু আইসিসি-র কোনও ইভেন্টে মুখোমুখি হয়। ২০১৬-তে শেষবার ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল পাকিস্তান।
২০১৫-তে তেহরিক-এ-ইনসাফের প্রধান হয়ে ভারতে এসেছিলেন ইমরান খান। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও। পিটিআই-এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ইমরানের কথা তুলে বলা হয়েছিল যে, ইমরান ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটের ব্য়াপারে যখন মোদীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তখন মোদী উত্তরে হেসেছিলেন। ইমরান জানিয়েছিলেন যে, এই হাসির অর্থ তিনি বুঝতে পারেননি। ইমরান সেসময় মিডিয়াকে জানান, “আমরা আজীবন শত্রু থাকতে চাই না। ভবিষ্য়তের কথাও ভাবতে হবে। ভারত যেমন ওয়াসিম আক্রমকে ভালবাসা পায়, ঠিক তেমনই পাকিস্তানেও শচিন তেনডুলকর নায়কের মর্যাদা পায়।”