অস্ট্রেলিয়া: ১৮৮/১০
ভারত: ১৯১/৫
ওয়াংখেড়েতে এভাবে যে কাঁপুনি দিয়ে জয় আসবে কে ভেবেছিল। টার্গেট ছিল মাত্র ১৯৯। সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে মিচেল স্টার্ক, স্টোইনিস বিভীষিকার সামনে ভারত ১০ ওভার পেরোতে না পেরোতেই ৩৯/৪। ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া ফিরে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ড ৮৩/৫। একশো রানের কিছু বেশি টার্গেট তখন বহুত দূর মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত যাঁর ব্যাটে ভর করে ভারত নিশ্চিন্তে শেষ স্টেশন পৌঁছল, তিনি গত একমাস ধরে চরম সমালোচিত, চরম ধিকৃত কেএল রাহুল।
বর্ডার গাভাসকার সিরিজ চলাকালীন প্ৰথম দুই টেস্টেই ব্যর্থ হওয়ার পর গোটা দেশ জুড়েই ক্রিকেট মহলের চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কর্ণাটকি তারকা। চাপের মুখে দিল্লি এবং আহমেদাবাদ টেস্টে প্ৰথম একাদশে জায়গা হারান তিনি শুভমান গিলের কাছে।
আরও পড়ুন: লোপ্পা ক্যাচ মিস, নিজেই নিজেকে গালিতে ভরিয়ে দিলেন গিল, দেখুন বেনজির ভিডিও
কার্যত জাতীয় ভিলেনে পরিণত হয়ে যাওয়া কেএল রাহুল শুক্রবার চওড়া ব্যাট হাতে না দাঁড়ালে ভারত প্ৰথম ম্যাচেই হেরে অনিবার্যভাবে পিছিয়ে পড়ত। পাঁচ নম্বরে যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছে ভারতের টপ অর্ডার। ইশান কিষান, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব ফিরে গিয়ে ভারত কার্যত হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল।
৩৯/৪ হয়ে যাওয়ার পর ক্যাপ্টেন হার্দিকের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপে ভারতের বিপর্যয় কিছুটা রুখে দেন তিনি। হার্দিককে শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে স্টোইনিস ফেরানোর পর জাদেজার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ১০৮ রানের জুটি গড়ে শেষ পর্যন্ত ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাহুল। সাত বাউন্ডারি, একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে রাহুল ৯১ বলে ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে যান। সঙ্গী জাদেজা ৬৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
তার আগে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মহম্মদ শামি এবং সিরাজের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৮৮ রানে ধসে গিয়েছিল। কেরিয়ারে প্ৰথমবার ওপেন করতে নেমে মার্শ শুরুটা দারুণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ওভারেই অন্য ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ফিরে গেলেও মার্শ ৬৫ বলে ৮১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দেন। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচটা বিশাল ছক্কাও হাঁকান তিনি। এর মধ্যে শেষ ৩০ রান করে যান মাত্র ১৫ বলে।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল মার্শের ব্যাটে ভারতের দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে, সেই সময়েই জাদেজা ফিরিয়ে দেন মার্শকে। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি অজিরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে ক্যাঙারুরা।
আরও পড়ুন: মাঠে নেই, মাঠের বাইরে শ্যালকের বিয়েতে উদ্দাম নাচ রোহিতের, মঞ্চ মাতিয়ে দিলেন একাই, দেখুন ভিডিও
মার্শ আউট হওয়ার আগেই স্টিভ স্মিথকে হার্দিক পান্ডিয়া ফেরত পাঠান। মার্শ যখন আউট হন তখন অজিরা ১২৯/৩। এর পরে ১৮৮-তে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে ধসে যায় অজি ইনিংস।
মহম্মদ শামি ৬ ওভারে ২ মেডেন সহ মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। মহম্মদ সিরাজ ৩ উইকেট নেন ২৯ রানে। রবীন্দ্র জাদেজা ২ উইকেট নেন। কুলদীপ যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নেন।