Gautam Gambhir on Shardul Thakur non-selection: ভারতীয় দলের দরজা এবার শার্দূল ঠাকুরের জন্যও বন্ধ হয়ে গেল। তাঁর জায়গাতেই ২১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা অলরাউন্ডার নীতীশকুমার রেড্ডিকে দলে নিয়েছেন নির্বাচকরা। নীতীশ অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ভারতীয় দলে আছেন। ২২ নভেম্বর, পার্থ-এ শুরু হবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। পাঁচ টেস্ট ম্যাচের এই সিরিজে জেতার জন্য মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। কারণ, এই ট্রফির ফলাফলের ওপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত আদৌ উঠতে পারবে কি না, সেটা নির্ভর করবে।
এই সফরের আগে সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। সেখানেই তিনি শার্দূল ঠাকুরকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তারপরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে অলরাউন্ডার শার্দূলের জন্য ভারতীয় দলের দরজা আপাতত বন্ধ। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, কোচ গম্ভীর ভারতীয় স্কোয়াডে শার্দূলের জায়গায় নীতীশকুমার রেড্ডিকে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।
অথচ, গত অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের হয়ে গাবায় দুর্দান্ত খেলেছিলেন পেস বোলার শার্দূল ঠাকুর। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ওই সিরিজে হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন। 'সেনা'র তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে শার্দূলের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। সেই শার্দূলের ব্যাপারেই সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেছেন, 'যদি এগিয়ে যাওয়াটাই লক্ষ্য থাকে, তবে আমি বলব যে আমরা সেরা খেলোয়াড়কেই সিরিজের জন্য বেছে নিয়েছি। আমরা সেই টিম বানিয়েছি, যারা সিরিজে দুর্দান্ত খেলবে। নীতীশ রেড্ডি যে কতটা প্রতিভাশালী, আমরা সবাই জানি। যদি ওঁকে সুযোগ দেওয়া হয়, তবে ও ভালো খেলবে।'
আরও পড়ুন- কোটাতে কি টিম ইন্ডিয়ায় হর্ষিত রানা! বিতর্কের মুখে বড় জবাব এবার গম্ভীরের
অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে নীতীশ রেড্ডি দুটো ম্যাচেই খেলেছেন। কিন্তু, হর্ষিত রানাকে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতীয় দলে রাখা হয়নি। এই ব্যাপারে গম্ভীর সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'রানা তো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছেই। ওকে বেশি চাপ দেওয়ার দরকার নেই। ও অসমের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে। হাফ সেঞ্চুরি করেছে। পাঁচ উইকেট নিয়েছে। খুব ভালো খেলেছে। আমরা সবাই সেই কারণে ঠিক করি যে ওঁকে আর একটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে পাঠানোর দরকার নেই। একজন পেসারের তরতাজা থাকলে গেলে বিশ্রামটাও জরুরি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বেশ কিছুদিন ধরে চলবে। পাঁচটি টেস্ট খেলা হবে। সেই কারণেই বোলিং কোচ, ফিজিও, ট্রেনার্সরা ওঁকে অস্ট্রেলিয়ায় না পাঠানোর জন্যই বলেছিলেন।'