শতরান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখা পন্থকে বসিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এডিলেডে দিন রাতের টেস্টে। তবে এই টেস্টই বাংলার তারকা উইকেট কিপারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে ম্যাচের দুদিন গড়াতে না গড়াতেই।
ব্যাট হাতে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবদান তো রাখতেই পারলেন না, উল্টে কিপার হিসাবে ক্যাচ মিস করে বসলেন মার্নাস লাবুশানের। তারপরেই তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে। গতকাল দিনের শেষে ভারত ২৩৩ রানে শেষ করেছিল। ক্রিজে ব্যাটিং করছিলেন ঋদ্ধি এবং অশ্বিন।
আরো পড়ুন: আচমকাই বন্ধ হতে পারে টেস্ট সিরিজ, ব্রেট লি-কে বাড়ি পাঠানো হল
ভারতের টেলএন্ডাররা এই স্কোর ৩০০ না হলেও আশেপাশে পৌঁছে দেবেন। এমনটাই আশা ছিল। চেতেশ্বর পূজারা যেমন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেই দেন, এখনো আমাদের সামনে ২৭৫-৩০০ তোলার সুযোগ রয়েছে। ভালো ব্যাটিং হলে স্কোর সাড়ে তিনশো অবধি পৌঁছে যেতে পারে।
তবে এই আশা কার্যত জলাঞ্জলি দিয়ে শুরুর কয়েক ওভারেই পাততাড়ি গোটাতে হয় ভারতকে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১ রান যোগ করার ফাঁকে ভারত শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। মিচেল স্টার্ক ফুল লেংথে অফস্ট্যাম্পের বাইরে বোলিং করেছিলেন। অফ কাট করতে গিয়ে টিম পেইনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। ২৪৪ অলআউট হয় টিম ইন্ডিয়া। ১৮১/৩ থেকে ২৪৪ অলআউট হয়ে যাওয়ার জন্য বিরাট কোহলির রান আউট হওয়ার সঙ্গেই ঋদ্ধিমানের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারার ঘটনাকে দায়ী করা হচ্ছে।
ইনসাইড স্পোর্টসের এক অনলাইন পোলে জানা গিয়েছে ৬৬ শতাংশ ক্রিকেট ভক্তই মনে করেন ঋদ্ধিমানের পরিবর্তে পন্থকে প্রথম একাদশে খেলানো উচিত ছিল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমানকে ট্রোলিংয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন