উমরান মালিক মানেই গতির।বিস্ফোরণ। আইপিএল হোক বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট- উমরানেই গতিতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক রথী-মহারথীর ব্যাট। এবার বাংলাদেশ সিরিজেও আগুন ঝরানো শুরু করলেন স্পিডস্টার। সাকিব আল হাসানের শরীরে বল আছড়ে ফেললেন। আবার নাজমুল হোসেন শান্ত-র উইকেট হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন।
ক্রিজে সাকিব আল হাসান-কে কাঁপিয়ে দিলেন ভয় ধরানো গতিতে। মহম্মদ শামির বদলি হিসাবে বাংলাদেশ সিরিজে ঢুকিয়ে নেওয়া হয় উমরানকে। ক্রাইস্টচার্চ থেকে সবেমাত্র ফেরায় জম্মু পেসারকে প্ৰথম ওয়ানডেতে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ম্যাচে রক্তাক্ত রোহিত! ভয়ঙ্কর বিপদে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হল তারকাকে
দ্বিতীয় ম্যাচেই কুলদীপ সেনকে বসিয়ে খেলিয়ে দেওয়া হয় উমরানকে। আর ম্যাচে নেমেই নিজের গতিময় প্রভাব ফেলে দিলেন উমরান। এক্সপ্রেস পেসে সাকিব আল হাসানকে নড়িয়ে দিলেন। নিজের প্ৰথম ওভারেই সাকিব আল হাসানের হেলমেটে বল আছড়ে ফেললেন উমরান। কয়েক বল পরেই সাকিবের হেলমেটে আরও একটা শর্ট ধেয়ে আসে উমরানের হাত থেকে। প্ৰথম ওভারেই মেডেন নিয়ে ম্যাচে প্রভাব ফেলে যান তারকা।
সাকিবকে প্ৰথম ওভারে বিধ্বস্ত হতে দেখেছিলেন নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। উমরানের পরের ওভারেই শান্ত ভেবেছিলেন এক্সপ্রেস গতির শর্ট বলের মোকাবিলা করতে হবে তাঁকে। তবে উমরান ১৫১ কিমি গতিতে লেংথ বল করেন শান্তকে। দ্রুতগতির সেই বলের কোনও জবাব-ই ছিল না শান্তর কাছে। অফ স্ট্যাম্পে আছড়ে পড়ে উইকেট দেখা যায় হাওয়ায় পাক খেতে।
আরও পড়ুন: ছাঁটাই জাতীয় দলের হেড স্যার! কানিতকরকে কোচ করল বিসিসিআই
সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছেন উমরান। এখনই দলের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন সুপারস্টার। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্ৰথমবার খেলতে নেমেই উমরান মালিক ১০ ওভারে ৫৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন। শান্ত-র পরে উমরান আউট করেন ক্রিজে টিকে যাওয়া মাহমুদউল্লাহকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় বলির পাঁঠা হচ্ছেন দ্রাবিড়! নতুন বছর শুরুর আগেই বিরাট ঘোষনার পথে BCCI
সিরাজ-উমরান-ওয়াশিংটন সুন্দরদের দাপটে ভারত একসময় বাংলাদেশকে ৬৯/৬-এ ধসিয়ে দিয়েছিল। তবে সপ্তম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-র সঙ্গে ১৪৮ রানের পার্টনারশিপে বাংলাদেশকে বড়সড় রানে পৌঁছে দেন প্ৰথম ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। প্ৰথম ম্যাচে ভারতের জয় একা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণ। তিনি বুধবারও দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন। শতরান করে গেলেন শেষমেশ। বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ২৭১/৭-এ পৌঁছে দেওয়ার নায়ক সেই মেহেদি।