India vs Bangladesh, Litton Das: পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ এবার পা রাখছে ভারতে। পাকিস্তানে পুরো কন্ডিশন দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতে অন্য ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সেটা আর কিছুই নয়, এসজি বল নিয়ে। এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের তারকা উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস।
লিটন দাস মেগা সিরিজে খেলতে নামার আগে বলছেন, "ভারত বড় দল। এখানে অন্য বলে খেলতে হবে। আমরা এমন বলে খুব কম-ই খেলে থাকি। এটা আমাদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। দলের সকলে অনেক পরিশ্রম করছে। প্রস্তুতি হিসাবে আমরা দলের মূল বোলারদের বিপক্ষে প্র্যাকটিস করছি। এসজি বল বেশ কঠিন। তবুও আমরা অনুশীলন করছি। দেখা যাক কী হয়!"
এসজি বল আসলে হাতে সেলাই করা বল। বোলারদের সহায়ক হয় এই বল। অন্যদিকে, কোকাবুরা আবার মেশিনের দ্বারা সেলাই করা হয়। কিছুক্ষণ খেলার পরেই সিম বলের সমতলের সঙ্গে মিশে যায়। এতে ব্যাটারদের সুবিধা হয়।
আরও পড়ুন: সিঙাড়ার চেয়েও কম দামে মিলেছিল পাক-বাংলা টেস্টের টিকিট! ভারত-বাংলাদেশ টিকিটের দাম আগুন লাগাল
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একবার ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণ জানিয়েছিলেন, "এসজি বল শুরুতে সুইং করে না। তবে ৮-১০ ওভার পর থেকে বল সুইং পায় এবং রিভার্স সুইং হওয়ার সম্ভবনাও জোরদার থাকে এই বলে। তবে ইংলিশ কন্ডিশনে শুরুতে হয়ত বল রিভার্স সুইং হয়না। রিভার্সের জন্য ৬০ ওভার অপেক্ষা করতে হতে পারে।"
তাঁর আরও সংযোজন ছিল, "কোকাবুরায় নতুন বলে প্ৰথম ১৮-২০ ওভার-ই সুইং হয়। তবে সিম এসজি অথবা ডিউকের মত প্রকট নয়। ব্যাটাররা কোকাবুরা পছন্দ করে। বিশেষ করে ৩০ ওভার পর থেকে। তখন আর সুইং হয় না।" দীপ দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একবার বলেছিলেন, "সবথেকে দৃশ্যমান প্রকট সিম হয় ডিউকের। তারপর এসজি এবং কোকাবুরা।"
লিটন এদিকে আরও বলেছেন, ঘরের মাঠে ভারতকে হারানো কতটা কঠিন কাজ। "ঘরের মাঠে ভারত সবসময় প্রতিপক্ষের থেকে এগিয়ে থাকে। আমি বলব না এটা ভীষণ চ্যালেঞ্জের হবে অথবা খুব সহজ হবে। এই কন্ডিশনে ওঁরা দারুণ টিম। আইসিসি ক্রমতালিকা দেখলেই বোঝা যাবে ওঁরা কতটা ওপরে। আমার মনে হয় গোটা সিরিজই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং হবে।" বলে দিয়েছেন লিটন।
Read full article in ENGLISH