Hindu Maha threatens to disrupt India vs Bangladesh Gwalior t20: ভারত-বাংলাদেশ টি২০ ম্যাচের দিনই গোয়ালিয়র বনধের ডাক দিল হিন্দু মহাসভা। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ রয়েছে। সেই দিন, 'ম্যাচ হতে দেব না' বলে হুমকি দিয়েছেন হিন্দু মহাসভার নেতারা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে। হিন্দু মহাসভার এই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ বিরোধিতার কারণ, প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। সেদেশে হিন্দুরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু। তাঁদের ওপর মুসলিম সম্প্রদায় অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শংকরাচার্যের মত হিন্দু সম্প্রদায়ের মাথারা।
প্রতিবাদের সেই কণ্ঠস্বর বজায় রেখেই হিন্দু মহাসভার জাতীয় সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ অভিযোগ করেছেন, 'হিন্দুরা বাংলাদেশে নির্যাতিত হচ্ছে। বাংলাদেশে একের পর এক মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা কিছুতেই বাংলাদেশকে ভারতের মাটিতে খেলতে দেব না। আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশ যখন গোয়ালিয়রে খেলতে আসবে, আমরা প্রতিবাদ জানাব।' জয়বীর জানিয়েছেন, তাঁরা এই বনধের আওতা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীকে ছাড় দিয়েছেন।
পালটা গোয়ালিয়র পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'ওই দিন অন্যান্য কাজের দিনের মতই নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে। আমরা সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলেছি। হিন্দু মহাসভা তেমন কোনও বড় সংগঠন না। ওদের গোয়ালিয়র বনধ করার ক্ষমতা নেই। তবে, আমরা সতর্ক। আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।'
গোয়ালিয়রে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ২০১০ সালে। তার ১৪ বছর পর ৬ অক্টোবর কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে চলেছে এখানকার স্টেডিয়ামে। যে স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ হওয়ার কথা, সেটা প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা গোয়ালিয়রের মহারাজ মাধবরাও সিন্ধিয়ার নামে। এই স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার দর্শকের বসার জায়গা আছে।
আরও পড়ুন- রিঙ্কুর শরীরে ঈশ্বরের প্ল্যানিং! বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের আগেই ঝড় তুললেন কেকেআর সুপারস্টার
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক বলেছেন, 'পুলিশের অনুমান, ওই হুমকিই সার। হিন্দু মহাসভা কিছুই করতে পারবে না। ওরা মাঝেমধ্যেই প্রচারে থাকার জন্য হুমকি দেয়। গত মাসেও এমন হুমকি দিয়েছিল। তবে যাতে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশ সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছে। নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে।'