দুই দিন থেকে তিন দিনে টেস্ট যাবে? সংশয়ে ছিলেন প্রত্যেকেই কারণ, প্রথম ইনিংসে ভারত ২৪১ রানের লিড নিয়ে টোয়লাইটে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশকে। শুরু থেকেই হুড়মুড় করে উইকেট পতনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান উঠতে না উঠতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন চার বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। তবে সেখান থেকে খেলা তৃতীয় দিনে নিয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশ ১৫২/৬। ভারতের ইনিংসের থেকে এখনও বাংলাদেশ পিছিয়ে ৮৯ রানে। ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন স্রেফ ৪ উইকেট।
ইশান্ত ও উমেশের আগুনে বোলিং মোকাবিলা করতে না করতেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন সাদমান, মমিনুল, ইমরুল কায়েশ এবং মহম্মদ মিঠুন। সেখান থেকেই খেলা ধরে নেন মাহমুদ্দুল্লা ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের স্কোর যখন ৮২, তখন হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন মাহমুদুল্লা।
উমেশ যাদবের বলে সিঙ্গেল নিতে ছুটছিলেন মাহমুদউল্লাহ। রান পূর্ণ করার আগেই হাত দিয়ে চেপে ধরেন ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিং। ফিজিও এসে পরীক্ষা করে দেখলেও খেলার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না তিনি। এরপরে মুশফিকুর মেহদি হাসানের সঙ্গে সাময়িক জুটি গড়েন। ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পরে ইশান্তের বলে আউট হয়ে ফেরেন মেহদি। শেষদিকে আউট হলেন তাইজুল।
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গোলাপি বলের টেস্টে অর্ধশতরান করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন মুশফিকুর। দু-বার আউট দেওয়া হলেও রিভিউয়ে জীবন পেয়েছেন তিনি।
ইডেনে আলো ছড়ালেন বিরাট (এক্সপ্রেস ফোটো, পার্থ পাল)
ফ্লাডলাইটে শামি কেমন বোলিং করেন, সেদিকে অনেকেরই আশা ছিল। তবে শামি এদিন হতাশই করেছেন। ইশান্ত ৪টি এবং উমেশ ১টি উইকেট দখল করলেও শামি নজর কাড়তে পারেননি। ৭.৫ ওভারে ৪২ রান খরচ করেছেন তিনি।
তার আগে এদিন ইডেন মাতালেন বিরাট কোহলি একা। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গোলাপি বলের ক্রিকেটে প্রথম শতরান করে যান তিনি। এদিন প্রথম সেশনে কর্তৃত্ব নিয়েই ব্যাটিং শুরু করেন ক্যাপ্টেন। রাহানে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার কিছুক্ষণ পরেই ৫১ রানে তাইজুল ইসলামের বলে এবাদাত হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে কোহলির রক্ষণ নড়ানো যায়নি।
অধিনায়ক হিসেবে করে ফেলেন ২০তম টেস্ট শতরান। রিকি পণ্টিংকে এদিনই পিছনে ফেললেন তিনি। অধিনায়ক রিকি পণ্টিংয়ের দখলে ছিল ১৯টি শতরান। ক্যাপ্টেন হিসেবে সবথেকে বেশি শতরানের মালিক যদিও গ্রেম স্মিথ। তাঁর সংগ্রহে ২৫টি সেঞ্চুরি।
ইন্দোর টেস্টে ব্যাটে রান পাননি। সেই ক্ষতি সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন তিনি। তবে মধ্যাহ্নভোজের পরেই কোহলি ব্যক্তিগত ১৩০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান।
গতকালই ম্যাচের শেষে ভারত ছিল ১৭৪/৩। কোহলি ও রাহানে ব্যাটিং করছিলেন। সেখান থেকে প্রথম সেশনেই এদিন কোহলি নিজের কেরিয়ারের ২৭তম শতরান পূর্ণ করে ফেলেন। দুই ওপেনারকে ভারত হারালেও কোহলি পূজারা ও রাহানের সঙ্গে ৯৪ ও ৯৯ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে প্রাথমিক বিপদসীমার হাত থেকে রক্ষা করেন।
Read LIVE Blog Article in ENGLISH