Rinku Singh, IND vs BAN: বাংলাদেশি বোলারদের মারতেই থাকো... এমনই নাকি ব্যাটিং পরামর্শ পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। দিয়েছিলেন স্বয়ং হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এবং ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব।
ম্যাচের শেষে রিঙ্কু সিং সাংবাদিকদের সামনে এসে বলে দিয়েছেন, "কোচ এবং ক্যাপ্টেন আমাদের স্রেফ নিজেদের খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। যে রকম পরিস্থিতিই আসুক না কেন, আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ছিল আমাদের কাছে। আমাকে বলা হয়েছিল, নিজের ওপর ভরসা রেখে যেন বল হিট করতে থাকি। গম্ভীর ভাই আমাদের নিজেদের মত খেলার স্বাধীনতা দিয়েছেন।"
ব্যাট হাতে রিঙ্কু ছক্কার ঝড় তুলে ২৯ বলে ৫৩ করে যান। চতুর্থ উইকেটে নীতিশ রেড্ডির সঙ্গে ১০৮ রানের আগুনে পার্টনারশিপ গড়ে যান কেকেআর তারকা। গত টি২০ বিশ্বকাপে রিঙ্কুকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল স্ট্যান্ড বাই হিসাবে। তাছাড়া কেকেআরের আইপিএল জয়ী সিজনেও সেভাবে ব্যাট করার মওকা পাননি তিনি।
রিঙ্কু অবশ্য স্বীকার করেছেন, "কোনও উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যেভাবে দল ব্যাট করছিল, তাড়াতাড়ি ম্যাচ খতম হয়ে যাচ্ছিল। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জয়।" রিঙ্কু মূলত ফিনিশারের ভূমিকায় মাঠে নামেন। তবে তাঁর ভূমিকা কী থাকে, সেই বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি নিজেই।
আরও পড়ুন: কোথায় গেল মায়াঙ্কের ১৫০ কিমি! বিস্ফোরক মন্তব্যে পাল্টা ঢিল খেলেন তামিম, মুখের ওপর জবাব সরাসরি
বলেছেন, "আমার ব্যাটিং অর্ডার এরকমই যে কোনও ব্যাট করতে নামার সময় নির্দিষ্ট পজিশন নেই। উইকেট আগেভাগে পড়ে গেলে আমার প্ল্যান থাকে সিঙ্গলস-ডাবলস নিয়ে এবং খারাপ বলের ফায়দা তুলে স্কোরবোর্ড সচল রাখা। যদি হাতে মাত্র ২-৩ ওভার বাকি থাকে, তাহলেই একমাত্র আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে থাকি। চার-ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় থাকি।"
দলীপের জন্যও নির্বাচিত হননি রিঙ্কু। তিনি আপাতত রঞ্জিতে ভালো পারফর্ম করে সমস্ত ফরম্যাটের তারকা হিসাবে নিজেকে মেলে ধরতে চান। রিঙ্কু বলে দিয়েছেন, "রঞ্জির প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাব না। অক্টোবরের ১২ তারিখে আমাদের শেষ ম্যাচ। হাতে সময় থাকবে মাত্র দু-একদিনের। সাদা বলের ক্রিকেট খেলে লাল বলে নেমে পড়া ভীষণ কঠিন ব্যাপার। লখনৌয়ে গিয়ে যত বেশি সম্ভব নেটে ব্যাটিং করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।"
"আমি নিজেকে তিন ফরম্যাটের প্লেয়ার হিসাবে দেখি। যেখানেই সুযোগ পাব, সেখানেই পারফর্ম করতে হবে।" দিল্লিতে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচের পিচ নিয়ে রিঙ্কু জানিয়েছেন, "ম্যাচ শুরুর সময় পিচ কিছুটা ডাবল পেসড ছিল। সঞ্জু ভাই, সুরিয়া ভাই বলের কাছে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গিয়েছিল। পিচে বল পড়ে থমকে আসছিল।"
"আমি ক্রিজে নামার পরে নীতিশ আমাকে জানায় পিচ কেমন ব্যবহার করছে। সেই অনুযায়ী আমি ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে পিচ অনেক সহজ হয়ে এসেছিল। আমরা পার্টনারশিপ গড়ায় এবং খারাপ বলের ফায়দা নিতে চেয়েছিলাম। নীতিশ রেড্ডি ফ্রি হিট পাওয়ার পরেই ম্যাচের মোমেন্টাম আমরা পেয়ে যাই।"
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH