Tamim Iqbal on Mayank Yadav during IND vs BAN 2nd t20: গোয়ালিয়রে প্রথম টি২০ ম্যাচে গতিদানব মায়াঙ্ক যাদব ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। সঙ্গে লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করে তিনি একটি মেডেন ওভার এবং মাহমুদউল্লার উইকেট নিয়েছিলেন। তা নিয়ে ব্যাপক চর্চাও হয়েছিল। কিন্তু, বুধবার দিল্লিতে মায়াঙ্কের বলের গতি ঘণ্টায় ১১৭ থেকে ১৪৬ কিলোমিটারের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার তামিম মায়াঙ্ককে কটাক্ষ করে বলেন, 'মায়াঙ্ক যাদব এই সিরিজে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারেননি।' অমনি তাঁকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন প্রাক্তন ভারতীয় বোলার তথা অন্যতম ধারাভাষ্যকার মুরলী কার্তিক। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশেরও কেউ পারেনি।'
স্পিডস্টার মায়াঙ্ক, আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের (এলএসজি)-র হয়ে ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে পর্যন্ত বল করেছেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য এবারের আইপিএলে এলএসজির প্রথম দুটি ম্যাচে প্লেয়ার অফ-দ্য ম্যাচও হয়েছেন। কিন্তু, তারপর চোটের জন্য বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) তারপর থেকেই মায়াঙ্ক বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সেখানে দৈনিক আট থেকে দশ ওভার বোলিং করে ম্যাচ খেলার মত হয়ে উঠেছেন।
গোয়ালিয়রের ম্যাচে তিনি তাঁর গতির কাছাকাছি বল করেছেন। কিন্তু, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতি ছুঁতে পারেননি। আর, গোয়ালিয়রের টি২০ ম্যাচটাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক। সেখানে তাঁর খেলা দেখে অনেক বিশেষজ্ঞই আশা প্রকাশ করেছেন যে মায়াঙ্ককে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সফরের দলে নেওয়া উচিত। অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক পিচে মায়াঙ্ক দারুণ কার্যকর হবেন। কিন্তু, ভারতের প্রাক্তন বোলার আরপি সিং মনে করেন মায়াঙ্কের চেয়েও অস্ট্রেলিয়া সফরে বেশি কার্যকর হবেন আকাশ দীপ।
আরও পড়ুন- বোল্ড করেই লাল চোখ ব্যাটারকে! বাংলাদেশি তারকার সঙ্গে মাঠেই সংঘাত, ঝড় অর্শদীপের, দেখুন ভিডিও
এই ব্যাপারে প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার আর পি সিংয়ের বক্তব্য, 'আমার মনে হয় আকাশ দীপেরই অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ পাওয়া উচিত। ওঁর বোলিং স্টাইল অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে বেশি মানানসই। মায়াঙ্কের গতি আছে। গতিটা অবশ্যই দরকার। কিন্তু, ওঁর বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই ব্যাপারে মায়াঙ্ককে আরও উন্নতি করতে হবে। এই জন্য মায়াঙ্ককে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও বেশি করে খেলতে হবে। যেটা আকাশ দীপ, মহম্মদ শামিরা খেলেছে। একটা টেস্ট ম্যাচে খেলোয়াড়কে ধৈর্য এবং দক্ষতা, দুটোরই পরিচয় দিতে হয়। সেটা শামি, আকাশ দীপরা দিয়েছে। তাই আমার মনে হয় ওদেরই অস্ট্রেলিয়া যাওয়া উচিত।'