Shakib Al Hasan Apology on Bangladesh Protests: বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অস্থির দেশে ফিরতে পারছেন না সেদেশের আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছাত্র আন্দোলনে নীরবতা বজায় রাখার জন্য সাকিবের ওপর বর্তমান ক্ষমতাসীনরা ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে, মূলত বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাছে ঘুরিয়ে আবেদন করলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নীরবতা ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিব বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে এক খোলা চিঠি দিয়েছেন। তাতে দেশের দর্শকদের সামনে তাঁর বিদায়ী ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সাকিব।
২১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের সিরিজের ১ম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেখানেই দেশের মাটিতে খেলতে চাইছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। বাংলাদেশে হাসিনা জমানায় ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের তথা প্রাক্তন সাংসদ সাকিব তাঁর খোলা চিঠিতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।
৯ অক্টোবর (বুধবার) তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে খোলা চিঠিতে সাকিব লিখেছেন, 'প্রথমে, আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই সমস্ত ছাত্রদের স্মরণ করছি, যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন বা আহত হয়েছেন। আমি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাই। যদিও কোনও সমবেদনাই কখনও ক্ষতিপূরণ করতে পারে না। প্রিয়জন, সন্তান বা ভাই হারানোর বেদনা সবসময়ই অপূরণীয়। আপনাদের মধ্যে যাঁরা এই সংকটময় সময়ে আমার নীরবতায় আহত বা হতাশ বোধ করেছেন, আমি তাঁদের অনুভূতি মেনে নিয়ে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।'
আরও পড়ুন- কোথায় গেল মায়াঙ্কের ১৫০ কিমি! বিস্ফোরক মন্তব্যে পাল্টা ঢিল খেলেন তামিম, মুখের ওপর জবাব সরাসরি
এর পাশাপাশি সাকিব আরও লিখেছেন, 'আমি যদি আপনাদের জায়গায় থাকতাম, তাহলে হয়তো আমিও একইরকম অনুভব করতাম। আপনারা সকলেই জানেন যে আমি শীঘ্রই আমার শেষ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আমি আমার চারপাশের সবাইকে বিদায় জানাতে চাই। বিদায়ের মুহুর্তে, আমি তাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাই, যাঁদের করতালি আমাকে আরও ভালো খেলতে বাধ্য করেছে। আমি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমি যখন ভালো খেলি, তাঁদের চোখ সে দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি যে এই বিদায়ের মুহুর্তে, আপনারা সবাই আমার পাশে থাকবেন।'
সাকিব জানিয়েছেন, ওই ম্যাচটাই তাঁর বিদায়ী ম্যাচ হবে। তবে, তিনি খোলা চিঠিতে এসব লিখলেও, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা তাঁকে কতটা গুরুত্ব দেবেন, তা এখনও প্রশ্নের মুখে রয়েছে। কারণ, এর আগে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা হাসিনা সরকারের জমানায় প্রাক্তন সরকারের ঘনিষ্ঠ সকলকে হয় জেলে পুরেছেন। নয়তো তাঁদের নিদারুণ নিগ্রহ করেছেন।