India vs Bangladesh 2nd Test, Shakib Al Hasan: প্রথম টেস্ট-এ দাগ কাটতে পারেননি। সেই কারণে দ্বিতীয় টেস্ট-এ বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়তে পারেন সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্টার অলরাউন্ডারের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে সুযোগ পাওয়া এখনও ধোঁয়াশায়। সাকিব শুধু বাংলাদেশেরই নয়। বিশ্বক্রিকেটেরও অতি পরিচিত নাম। সেই সাকিবই দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের কথায় জল্পনা তৈরি হয়েছে।
কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। ওই মাঠে ভারতীয় দীর্ঘদিন ধরেই অপরাজিত। বাংলাদেশও এখনও পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে কোনও টেস্ট জিততে পারেনি। সেই সব রেকর্ড কানপুরেই ভাঙতে চাইছেন টাইগাররা। সেজন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। ভারত অবশ্য প্রথম টেস্ট জয়ী স্কোয়াডই দ্বিতীয় টেস্ট-এ রাখছে। প্রথম টেস্ট ২৮০ রানে জিতে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছেন রোহিত-বাহিনী। তারই পুরস্কার হিসেবে রবিবারই প্রথম টেস্ট-এর জয়ের দিনই স্কোয়াড অটুট রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা।
তবে, সাকিবকে বাদ দেওয়া বাংলাদেশের কাছে সহজ নয়। কারণ, সাকিবের মত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ টিমে বিরল। কিন্তু, প্রথম টেস্ট-এ চেন্নাইয়ে সেই সাকিবই প্রথম ইনিংসে ৩২, আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ করেছেন। বোলিংয়েও সাফল্য পাননি। প্রথম ইনিংসে ৫০ রান দিয়ে একটাও উইকেট নিতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রান দিয়েও কোনও উইকেট পাননি। তাঁর এই ব্যর্থতায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা।
কিন্তু, সাকিবের ভক্তরা আবার তাঁদের তারকার ব্যর্থতায় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাত দেখছেন। সাকিব ভক্তদের অভিযোগ, তারকা অলরাউন্ডারকে শান্ত দেরিতে বল করতে দিয়েছিলেন। ততক্ষণে ভারতীয় ব্যাটাররা মাঠে জমে গিয়েছেন। ফলে, সাকিবকে বেধড়ক মার খেতে হয়েছে। তিনি উইকেটও নিতে পারেননি। তবে, ম্যাচের ধারাভাষ্যকার প্রাক্তন স্পিনার মুরলী কার্তিক কিন্তু মনে করছেন, সাকিবের আঙুল আর কাঁধে চোট আছে। সেই কারণেই তিনি ফুল ফর্মে খেলতে পারেননি। যার ফলে, প্রথম টেস্ট ম্যাচে সাফল্যও পাননি। ধারাভাষ্য চলাকালীন কার্তিক সেকথা বলেওছেন। যদিও বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিস ও বোলিং কোচ ডেভিড হেম্প জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সাকিবের চোটের কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুন- কোহলির ব্যাট দিয়ে কোনওদিন ব্যাটিং করবেন না, বাংলাদেশ হারতেই বড় ঘোষণা আকাশ দীপের
যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্তিকের অভিযোগই ঠিক। সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচক হান্নান সরকারের বক্তব্যের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে, বিসিবির ফিজিও সাকিবের চোটের ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। চোটের পরিস্থিতি দেখে ঠিক হবে, দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে সাকিবকে দলে রাখা হবে কি না।
হান্নান ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে বলেছেন, 'সাকিব তো প্রথম টেস্ট-এর আগে পুরো ফিটই ছিল। সেই জন্যই ওকে প্রথম টেস্ট ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হয়েছিল। সাকিব আমাদের সেরা খেলোয়াড়। ও প্রথম একাদশে থাকলে আমাদের দল নির্বাচনের কাজটা সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় টেস্ট-এর জন্য হাতে এখনও অনেকটা সময় আছে। দেখি ও কেমন থাকে। তারপর ওকে প্রথম একাদশে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। ওঁর হাতে ব্যথা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সেসব আমাদের নজরে এসেছে। প্রথম টেস্ট-এর আগে ওঁর হাতে কোনও ব্যথা ছিল না। ফিজিও দলে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। ম্যাচ চলাকালীন হয়তো বল করার সময় ব্যাথাটা বুঝতে পেরেছে। আপাতত ফিজিও ব্যাপারটা দেখছেন। তিনি ছাড়পত্র দিলে ওঁকে দলে রাখা হবে।'