India vs Bangladesh T20 series: ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার ওপর কি বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল অসন্তুষ্ট? অনুশীলনে পান্ডিয়ার সঙ্গে মর্কেলের ব্যবহার দেখে, অনেকেরই কিন্তু তেমনটাই মনে হয়েছে।
গোয়ালিয়রে শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি২০ ম্যাচ। ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে যাচ্ছে। দর্শকরা আইপিএলের ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের কথা মাথায় রেখে এই ম্যাচেও বড় রানের আশা করছেন। তবে, শুধু আইপিএল নয়। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট লিগ বা এমপিএলেও বড় রানের সাক্ষী থেকে গোয়ালিয়রের এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'জুনে এখানে ১২টা খেলা হয়েছে। চারবার স্কোর ২০০ পেরিয়ে গেছিল।'
শুধু অন্যান্য ম্যাচ কেন, এমপিএল ফাইনালেই তো মালওয়া প্যান্থার্স দল গোয়ালিয়র চিতাদের করা ১৯৩ রান একবল বাকি থাকতেই তুলে নিয়েছিল। এমপিএলের শুরুতে আবার জব্বলপুর লায়ন্স ৪ উইকেটে ২৪৯ রান করেছিল। ভোপাল লিওপার্ডস তুলেছিল ২১৬ রান। সব মিলিয়ে এমপিএলে প্রথমে যারা ব্যাট করেছে, সেই সব দলগুলোর গড় স্কোর ছিল ১৭১। পরে যারা ব্যাট করেছে, তাদের গড় স্কোর ১৫০। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা এই ব্যাপারে জানিয়েছেন, 'বৃষ্টির জন্য চারটি খেলা পণ্ড হয়েছে। না-হলে এই গড স্কোর আরও বেড়ে যেত।' এসব দেখে একটা জিনিস পরিষ্কার যে এখানকার পিচ ব্যাটিং সহায়ক।
তবে, এখানকার পিচ নয়। ভারতীয় দলের এখন প্রধান চিন্তা অলরাউন্ডার হার্দিক প্যাটেল। তাঁর ওপর বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল বেশ অসন্তুষ্ট বলেই মনে হয়েছে। অনুশীলনের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান কোচকে দেখা গিয়েছে, হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিংয়ের খুঁটিনাটি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পান্ডিয়া যখন বল করার জন্য দৌড় শুরু করতে যাচ্ছেন, তখনও দেখা গিয়েছে মর্কেলকে কিছু বলতে। আবার মিনিট দশেক পরেও তিনি পান্ডিয়াকে দেখা গেল কিছু ইঙ্গিত করতে। যা দেখে আবার পান্ডিয়া মাথাও ঝাঁকালেন।
আরও পড়ুন- ডাকাতি করে হারানো হল নাইট রাইডার্সকে! কুৎসিত গালির ফোয়ারায় বোমার পর বোমা রাসেলের
এটুকু বাদে ভারতীয় দলের কাছে চিন্তার যেটুকু, তা হল হিন্দু মহাসভার গোয়ালিয়র বনধের ডাক। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে হিন্দু মহাসভা গোয়ালিয়র ম্যাচের দিন বনধের ডাক দিয়েছে। বনধ রুখতে গোয়ালিয়রের ম্যাজিস্ট্রট রুচিকা সিং সোমবার, ৭ অক্টোবার ১৬৩ ধারা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। গোয়ালিয়র পুলিশ অশান্তি রুখতে ইতিমধ্যেই ৩০ জন হিন্দু মহাসভা সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ওই দিন পাঁচ জন বা তার বেশি লোক কোথাও জড় হতে পারবে না। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মিছিল বা বিক্ষোভ বা জনসভা করা যাবে না। বুধবারই ভারত আর বাংলাদেশ দল গোয়ালিয়র পৌঁছে গিয়েছে। সেই দিনও বিক্ষোভ দেখিয়েছে হিন্দু মহাসভা।