Gautam Gambhir Angry Fight with Pitch Curator Lee Fortis: ভারত-ইংল্যান্ড (IND vs ENG) টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয়ে গেল উত্তেজনা। এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ইংল্যান্ডের কিউরেটর লি ফোর্টিস। ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ও ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাকের সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনের সময় পিচ কিউরেটরের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতীয় শিবির। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গম্ভীরের রাগে ফুঁসছেন, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তুমি আমাদের বলো না আমাদের কী করতে হবে।” মুহূর্তেই এই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার সূচনা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে
ম্যাচের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গম্ভীর এবং কোটাক ওভালের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই কিউরেটর ফোর্টিস, একজন বার্তাবাহকের মাধ্যমে, তাঁদের খেলার পিচ থেকে ২.৫ মিটার দূরে থাকতে বলেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফদের মাটিতে ‘কুলার’ না নিয়ে যেতে চিৎকার করেন তিনি।
কোটাকের বিস্ময় ও প্রতিক্রিয়া
ব্যাটিং কোচ কোটাক বলেন, “আমরা যখন মাঠ দেখতে গেলাম, তখন বলা হয় ২.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে। এটা বেশ অদ্ভুত লেগেছিল। আমরা তো খেলোয়াড়, ক্রিকেটার। আমরা জানি কীভাবে মাঠে চলাফেরা করতে হয়। কেউ স্পাইক পরেনি, কেউ মাঠ ক্ষতি করেনি। শুধু রাবার সোলের জুতা পরে মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।”
আরও পড়ুন 'তোমার থেকে শিখব না...!', ওভালের কিউরেটরের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা গম্ভীরের, Video Viral
তিনি আরও বলেন, “দিনের শেষে এটা একটা ক্রিকেট পিচ। এমন কিছু নয় যেন ২০০ বছরের পুরনো কোনও স্মারক। একজন ব্যাটসম্যান রান বাঁচাতে পিছলে যাবে বা বোলার বল থামাতে গিয়ে পড়ে যাবে, এটা স্বাভাবিক। মাঠের উপর এত বাড়াবাড়ি রকমের নিয়ন্ত্রণ অনভিপ্রেত।”
ঘাস লাগানো নিয়ে প্রশ্ন
কিউরেটরের বক্তব্য ছিল, মূল উইকেটের পাশের পিচে ঘাস লাগানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোটাক প্রশ্ন তোলেন, “একদিনে কতটা ঘাস গজাবে? আগামী পাঁচ দিনে কী হবে তা কেউ জানে না। তাই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা কখনও কখনও হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।”
কুলার নেওয়া নিয়েও চিৎকার!
কোটাক অভিযোগ করেন, “কিউরেটর রোলারের ওপর বসে ছিলেন এবং সেখান থেকে সাপোর্ট স্টাফদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন, ‘কুলারটা মাঠে এনো না।’ অথচ কুলারের ওজন ১০ কেজির বেশি নয়। এতে মাঠের কী ক্ষতি হবে?”
গম্ভীরের সংযমের প্রশংসা কোটাকের
কোটাক বলেন, “গৌতম সাধারণত কোনও অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মাথা ঘামান না। সব ম্যাচে, সব মাঠে, কিউরেটররা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তাঁরা বলতেন, কখন ঘাস কাটা হবে বা হবে না। যদি না বলতে চান, তাহলে বলতেন, ‘আগামীকাল আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে।’ সেটাও একটা গ্রহণযোগ্য উত্তর। কিন্তু ফোর্টিস যা করেছেন, তা অদ্ভুত।”
একটি পূর্বপরিচিত ‘রেপুটেশন’?
ভারতীয় কোচিং স্টাফের দাবি, ওভালের কিউরেটরের এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। কোটাক বলেন, “অনেক দলই জানে, এই কিউরেটরের সঙ্গে কাজ করা সহজ নয়।”
শেষ টেস্ট শুরুর আগে মাঠের বাইরের এই উত্তেজনা নতুন করে আগুন ছড়াল সিরিজ নির্ধারণকারী ম্যাচ ঘিরে। ভারতীয় শিবির স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মাঠের প্রতি সম্মান থাকলেও, অকারণে অপমান মেনে নেওয়া হবে না।