India vs England Test series: ব্যাটে ফর্মে নেই। তাঁকে বাদ দেওয়ার জোরালো দাবি উঠে গিয়েছে। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) এমনিতেই দলে জায়গা হারাতে পারেন। তবে বাদ পড়ছেন না। ইনজুরির কারণে তাঁকে শেষ তিন টেস্টে সম্ভবত বাইরে রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, তারকা ব্যাটার ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গেলেই কুঁচকি এবং পিঠে আড়ষ্ঠতা অনুভব করছেন। এতেই বাকি তিন টেস্টে তাঁর জায়গা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে ভাইজ্যাগ টেস্টের পর সমস্ত ক্রিকেটারদের খেলোয়াড়ি সরঞ্জাম পাঠানো হয় রাজকোটে, যেখানে তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। তবে শ্রেয়সের ক্রিকেটীয় বিষয় আশয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে। সিরিজ বর্তমানে ১-১ অবস্থায় রয়েছে। অজিত আগারকারের নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি বাকি তিন টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করবে কিছুক্ষণ পরেই।
সূত্রের খবর, আইয়ারকে এনসিএ-তে রিহ্যাব করতে পাঠানো হবে। সেখানে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। জানা যাচ্ছে, আইপিএল শুরুর ঠিক আগেই ফিট হয়ে যাবেন তিনি। ঘটনাচক্রে, গত বছর পিঠে সমস্যার কারণে অস্ত্রোপচার হয় তারকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, "আইয়ার টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন, ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করার সময় ক্রিজে ৩০ মিনিটের বেশি সময় কাটালে কুঁচকি এবং লোয়ার ব্যাক অংশে সমস্যা হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের পর এই প্ৰথম এই সমস্যা হচ্ছে ওঁর। তাই ওঁকে আপাতত বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। তারপর ও এনসিএ-তে যাবে।"
আরও পড়ুন: হাজার বার বলো জয় শ্রী রাম! ধর্মান্ধদের তুলোধোনা করে রামের জয়গান শামির গলায়
যদি একান্তই শ্রেয়স আইয়ার ছিটকে যান, তাহলে পরিবর্ত হিসাবে নির্বাচকদের নতুন কোনও মুখ বেছে নিতে হবে। এমনিতেই রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুল চোটের কারণে খেলতে পারেননি দ্বিতীয় টেস্টে। পরের টেস্টে দুজনের ফেরা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমন অবস্থায় রাজকোটে রজত পতিদার আরও একটা সুযোগ পান কিনা, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
বৃহস্পতিবারই বাকি তিন টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করে ফেলতেন নির্বাচকরা। তবে বিরাট কোহলিকে পাওয়া যাবে কিনা, সেই বিষয়ে কনফার্ম হওয়ার জন্যই স্কোয়াড চূড়ান্ত করার কাজ স্থগিত রেখেছেন আগারকাররা।
তৃতীয় টেস্টে কোহলি সম্ভবত খেলতে পারবেন না। তবে বাকি দুই টেস্টে কোহলির খেলা নিয়ে সম্ভবনা রয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তারকা। বাকি দলের সকলকে তৃতীয় টেস্টের জন্য রাজকোটে রিপোর্ট করতে হবে ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।