Sunil Gavaskar on Sarfaraz Khan: মোটা চেহারার সরফরাজের জাতীয় ক্রিকেটে তারকা হয়ে ওঠা নিয়ে যাঁরা কটাক্ষ করছেন, তাঁদের একহাত নিলেন সুনীল গাভাসকার। ২৬ বছরের সরফরাজ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট-এর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান করেছেন। আর, তারপরই নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে সরফরাজের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন গাভাসকার। টেস্ট ক্রিকেটে সরফরাজ দেরিতে পা রাখায় বরং গাভাসকার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে অনবদ্য রেকর্ড থাকার পরও যাঁরা সরফরাজ খানকে টেস্ট দলে জায়গা দিতে চাননি, তাঁদেরও তীব্র নিন্দা করেছেন গাভাসকার।
চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সরফরাজের। বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলের মত সিনিয়ররা সেই সময় দলের বাইরে ছিলেন। বাদ পড়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ারও। অভিষেক ম্যাচে দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করে মুম্বাইকার সরফরাজ সেই সময়ই নিজের জাত চিনিয়ে দেন। তারপরও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা পাননি সরফরাজ। বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম ইনিংসে ০ করেন। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান করে নিজের রানের খামতি পুষিয়ে দেন।
এরপর গাভাসকার সরফরাজ সম্পর্কে লিখেছেন, 'ঘরোয়া ক্রিকেটে শতরান করা সত্ত্বেও সরফরাজ খানকে কয়েক বছর ধরে ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যাঁরা তাঁকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁদের ধারণা ছিল, সরফরাজের কোমর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মত নয়। কিন্তু, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সরফরাজের ক্যারিশমা বুঝিয়ে দিয়েছে, কোমরের চেয়েও তাঁর ব্যাট বেশি শক্তিশালী। আর বুঝিয়েছে, দুঃখের ব্যাপার হলেও ভারতীয় ক্রিকেটে এমন অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী আছেন, যাঁরা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্তই নন।'
এই প্রসঙ্গে গাভাসকার কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটার ঋষভ পন্থেরও উদাহরণ টেনেছেন। তিনি বলেছেন, 'ঋষভ পন্থ এমন খেলোয়াড়, যাঁর কোমর পাতলা নয়। কোমরের এই ফিটনেসটা বিশুদ্ধতাবাদীরা চাইতে পারেন। কিন্তু, তারপরও ঋষভ প্রভাবশালী খেলোয়াড়। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি সারাদিন উইকেটকিপিং করেন। এর জন্য যার জন্য কেবল ওঠাবসাই করতে হয় না। প্রায় ছয় ঘণ্টার খেলায় থ্রো নেওয়া, স্টাম্পের দিকে দৌড়েও যেতে হয়।'
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়ার ম্যাপ নিয়ে অপমানজনক ছবি পোস্ট! ভারতে খেলতে এসে বিতর্কের দাবানল জ্বালাল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট
এই জন্য বিসিসিআইকে 'ইয়ো-ইয়ো' মানসিকতা বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছেন গাভাসকার। তিনি বলেছেন, 'দয়া করে এইসব ইয়ো-ইয়ো মার্কা মানসিকতা বদলান। বদলে একজন খেলোয়াড় মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী, সেটা দেখুন। সেটাই একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেসের সবচেয়ে বড় মানদণ্ড। একজন খেলোয়াড় যদি সারাদিন ব্যাট করতে পারে বা একদিনে ২০ ওভার বল করতে পারে, তবে তো সে ম্যাচের জন্য ফিট। তাতে, তার কোমর পাতলাই হোক বা মোটা।'