শুরুতে মায়াঙ্ক আগারওয়াল। মাঝে ও শেষে যথাক্রমে চেতেশ্বর পূজারা এবং বিরাট কোহলি। তিন সেশনে তিন তারকার ব্য়াটে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও দাপটের ধারাবাহিকতা বজায় রাখল ভারত। গোটা দিনের শেষে ভারত যে ২৭৩/৩ তার রিংটোন অবশ্য সেট করে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ওপেনার রোহিত শর্মা পুণের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে ১৪-র বেশি করতে পারেননি। তবে রোহিত শর্মার সান্নিধ্যে স্বপ্নের ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক। এদিন ১৯৫ বলে ১০৮ রানের যে ঝকঝকে ইনিংস খেললেন মায়াঙ্ক তাতে পরিণতিবোধ স্পষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আবার তিনটে উইকেটই দখল করলেন রাবাদা।
যাইহোক, এদিন শতরান গড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনন্য নজির গড়ে ফেললেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরপর দু-টেস্টে শতরান করলেন মায়াঙ্ক। এই কৃতিত্ব আগে ছিল ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সচিন তেন্ডুলকরের। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়ে গেল মায়াঙ্কের নামও।
ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে উঠেছিল মাত্র ২৫ রান। রাবাদার বলে ডিককের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিয়েছিলেন রোহিত। দ্বিতীয় উইকেটে চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে মায়াঙ্কের জুটি উঠল ১৩৮ রান। নামেই আসলে গ্রিনফিল্ড। ঘাসের নামগন্ধ নেই। পাটা পিচে নিজের মতো করে ব্যাটিং করে গেলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। নিজেদের ইচ্ছেমতো ইনিংসের স্টিয়ারিং চালিয়ে গেলেন পূজারা, কোহলিরা।
পূজারা-আগারওয়াল জুটি যখন নর্ৎজে-রাবাদাদের উপরে রাজত্ব্য করে যাচ্ছিলেন, সেই সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফের একবার ব্রেক থ্রু দিয়ে গেলেন রাবাদা। ডিপ মিড উইকেটে ডুপ্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে যখন বিদায় নিলেন পূজারা, তখন তাঁর নামের পাশে ৫৮। পূজারা আউট হয়ে যাওয়ার পরে বেশিক্ষণ টেকেননি মায়াঙ্কও। চা বিরতির কিছুক্ষণ পরেই রাবাদার বলেই ডুপ্লেসিসের হাতে ক্যাচ তোলেন মায়াঙ্ক। মায়াঙ্কের ১০৮ রানের ইনিংস সাজানো ১৬টা বাউন্ডারি এবং দুটো ওভার বাউন্ডারিতে।
মায়াঙ্ক-পূজারার ইনিংস যেখানে খতম সেখান থেকেই আপাতত খেলা ধরেছেন ক্যাপ্টেন কোহলি ও রাহানে। দিনের শেষে কোহলি ৬৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে দিনের শেষে অপরাজিত রাহানেও (১৮)। রাহানে-কোহলির পার্টনারশিপে স্কোরবোর্ডে স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৭৫ রান।
Read full live updates in ENGLISH