দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত দুমড়ে মুচড়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী শতরানের সঙ্গে বল হাতে জ্বলে উঠেছেন কুলদীপ যাদব। আগুনে স্পেলে তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ওয়ান্ডার্সে কার্যত ওয়ান্ডারফুল ক্রিকেট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। সূর্যকুমার যাদবের অনুপস্থিতিতে প্রোটিয়াজ ইনিংস চলাকালীন নেতৃত্ব দেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি নেন জোড়া উইকেট। তবে ঘটনা হল, তিনি দুই নয়, তিন উইকেট শিকার করতে পারতেন।
দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং ধসের মধ্যে টিকে গিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। তিনি একার হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। সেই মিলারের ন্যায্য আউট-ই ভারত পায়নি। যান্ত্রিক গোলযোগে।
২০২ রান ডিফেন্ড করতে নেমে সপ্তম ওভারে নিজেকেই আক্রমণে এনেছিলেন ক্যাপ্টেন রবীন্দ্র জাদেজা। মিলার জাদেজাকে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে যান। তবে পরের বলেই কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন ওঠে মিলারের বিপক্ষে। তবে আম্পায়ার ভারতীয়দের আবেদনে কর্ণপাত করেননি। ভারতীয় শিবির অবশ্য আউটের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল। ডিআরএস নেওয়ার পর ভারতীয়দের জানানো হয়, ডিআরএস প্রযুক্তি সেই সময় উপলব্ধ নয়। পরে রিপ্লে-তে দেখা যায় উইকেটকিপার জিতেশ শর্মার গ্লাভসে বল জমা পড়ার আগে মিলারের ব্যাটে বড়সড় এজ লাগে জাদেজার ডেলিভারির।
এরপরেই ভারতীয়দের অসন্তোষ চরমে উঠে। ভারতীয় ফ্যানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একহাত নেন সম্প্রচারকারী সুপারস্পোর্টস চ্যানেলকে। ঘটনাচক্রে, এর আগে একাধিক বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের মত ভারতীয় ক্রিকেটার সুপারস্পোর্টকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন ২০২১-২২ সফরের সময়। একাধিকবার ডিআরএস-এ নিশ্চিত আউট পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল সম্প্রচারকারী এই চ্যানেলের বিরুদ্ধে। এবারেও সেই একই কাণ্ড।
মিলার অবশ্য নিশ্চিত জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। মিলারকে শেষমেশ ফেরান কুলদীপ যাদব। ২৫ বলে ৩৫ করে আউট হয়ে যান মিলার। ৬৬/৪ হয়ে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বিরাট ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। ১৪তম ওভারে কুলদীপ প্ৰথম তিন বলের মধ্যেই দু-উইকেট তুলে নেন। সেই ওভারেই মিলারকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ধসে যায় ৯৫-এ।