শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন্সের লনে বসেছিল চাঁদের হাট। বাইশ গজের নক্ষত্রখচিত প্যানেল নিয়ে জগমোহন ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করল সিএবি। সৌজন্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গতবছর এই অনুষ্ঠানে দেখেছিল দেশের দুই প্রজন্মের অধিনায়ক কপিল দেব আর বিরাট কোহলিকে। আর এবার তিন দেশের মহারথীরা এলেন এক ছাদের তলায়।
১৯৯৩ সালের ২৭ নভেম্বর হিরো কাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০২ রানে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারত। ক্রিকেটের নন্দনকাননে সেদিন সাক্ষী ছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। দেখতে দেখতে ২৫ টা বছর পার হয়ে গেল। হিরো কাপের ২৫ বছর উদযাপন আর জগমোহন ডালমিয়ার স্মারক বক্তৃতাকে মিলিয়ে দিল বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আরও পড়ুন, ‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায়ের পরেই প্রচণ্ড মদ্যপ হয়ে উঠি: অ্যান্ড্রিউ সাইমন্ডস
মহারাজের ডাকে এলেন ৯৩-র হিরো কাপ জয়ী মহম্মদ আজহারউদ্দিন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩১১ রান করে সেবার প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা। হিরো কাপে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দুই কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ও কার্ল হুপারকেও পেল ইডেন। কলকাতায় এসে আজহারউদ্দিন বললেন যে, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের জেতার ভাল সুযোগ রয়েছে। অতীতে এই কথা শচীন তেন্ডুলকর ও হরভজন সিংরাও বলেছেন। আজহারউদ্দিন বললেন," অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের ভাল সুযোগ রয়েছে। ভারত দুরন্ত দল। আমি চাইব ভারত জিতুক। অবশ্যই কাজটা সোজা নয়। অস্ট্রেলিয়ায় কখনই সেটা হয় না। কিন্তু এই ভারতীয় দল জিততে পারে।"
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন গ্রেম স্মিথ। আগামী রবিবার কলকাতায় তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। টেস্ট ও ওয়ান-ডে'র পর এবার ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে মুখোমুখি ভারত-উইন্ডিজ। এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলিকে। তাঁর পরিবর্তে ক্যাপ্টেন্সির ব্যাটন ফের রোহিত শর্মার হাতে। এদিন সকালেই রোহিতের টিম ইন্ডিয়া কলকাতায় চলে আসে। ফলে লারা-হুপারদের সঙ্গে ছিলেন রোহিতও।